মমতার ৬৩টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে রিপোর্ট গেল কমিশনের কাছে

মমতার ৬৩টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে রিপোর্ট গেল কমিশনের কাছে

কলকাতা: গতকাল ভোট পরিদর্শনে বেরোনোর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রামে কী ঘটনা ঘটেছে তার সকলেই জানেন। বয়ালের একটি বুথে প্রায় ঘন্টা দুয়েক ধর্না দেন তিনি, বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে সরাসরি ফোনে অভিযোগ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রেক্ষিতে গতকাল নন্দীগ্রামে নির্বাচনে বিরোধী বিজেপির হুমকি ও বিভিন্ন অনৈতিক কাজ কর্ম নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনে যে ৬৩টি অভিযোগ জানিয়েছিল তার প্রেক্ষিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন আজ কমিশনের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। 

জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের বয়ালের ঘটনা সহ আরো বিভিন্ন ঘটনার কথা উল্লেখ করে দলনেত্রী তথা সেখানকার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এরপর কমিশনের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে আজকের মধ্যে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে প্রশাসন কমিশনের কাছে এই রিপোর্ট দিয়েছে বলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে আজই, গতকালের প্রেক্ষিতে সমস্ত অভিযোগ জানাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। প্রথম দু’দফার নির্বাচন নিয়ে একাধিক অভিযোগের ব্যাপারে এদিন নির্বাচন কমিশনে হাজির হন তাঁরা। 

আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট প্রভাবিত করছে! ভুরিভুরি অভিযোগ নিয়ে কমিশনে তৃণমূল

গতকাল নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন, বহিরাগতদের আশ্রয় দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী! বারবার বলা সত্ত্বেও কোনো রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এবং একাধিকবার নির্বাচন কমিশনকে বলার পরেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে এমনটা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বয়ালের বিভিন্ন বুথে পরিদর্শনে যাওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে পেয়েই বয়ালে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দেন ভোটাররা৷ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তাঁরা৷ পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয়৷ উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ৭ নম্বর বুথে পৌঁছনর মাঝেই দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি৷ পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও তৃণমূল ও বিজেপি’র মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়৷ রীতিমতো থান ইঁট তুলে একে অপরকে টার্গেট করেন তাঁরা৷ পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 6 =