কলকাতা: নির্দেশ অমান্য করে কভিড বিধি লঙ্ঘন করার জন্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ও গণসংগঠনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে৷ অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু আজ সাংবাদিকদের বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে কভিড বিধি ঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেটা দেখার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে৷ বাড়ানো হয়েছে নজরদারি৷ করোনা আবহে নির্বাচনী প্রচার ইস্যুতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকশো কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান৷ এইদিকে আজ নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠকেও কভিড বিধি মেনে চলার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে বলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে৷ তবে, শেষ দুই দফা এক সঙ্গে করা হবে কি না, সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি কমিশনের তরফে৷
ভোটের আবহে বেলাগাম করোনা৷ পরিস্থিতি গুরুত্ব বুঝে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর তড়িঘড়ি কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে সমস্ত রাজনৈতিক দলের রোড শো, মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল৷ বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭টা থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়ে গিয়েছে৷ আগে দেওয়া সমস্ত রোড শো, মিছিলের অনুমতিও বাতিল করা হচ্ছে৷ জনসভা করার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হলেও তা সামাজিক দূরত্ব মেনে করতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কমিশন৷ সর্বোচ্চ ৫০০ জনকে নিয়ে সভা করতে হবে৷ তার বেশি লোক রাখা যাবে না বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কমিশন৷ এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে কিনা, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে কমিশনের কাছে তার রিপোর্ট পেশ করতে হবে বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ সার্কুলার জারি করা ছাড়া কমিশন কোনো পদক্ষেপ করছে না বলেও তোপ দেগেছে আদালত৷ বঙ্গ ভোট নিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কলকাতা হাইকর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ৷ এদিন নির্বাচন কমিশনকে কার্যত তুলোধোনা করে কলকাতা হাইকোর্ট৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, করোনাকালে যাতে সমস্ত বিধি মেনে কাজ সম্পন্ন করা যায়। কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশনের কাজের চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট৷ আদালতে ধাক্কা খাওয়ার পর রাতারাতি নির্দেশ জারি করে কমিশন৷