কলকাতা: লোকাল ট্রেন চলবে, কিন্তু কীভাবে? জানতে এবার সমীক্ষা শুরু করল রেল৷ পূর্ব রেলের হাওড়া শাখায় সমীক্ষায় শুরু হয়েছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের সমীক্ষা৷ কোন স্টেশনে কত যাত্রী যাতায়াত করেন? সমীক্ষা শুরু করে তথ্য সন্দানে মেনেছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ৷ এই বিষয়ে পূর্ব রেলের হওড়া ডিভিশনের ডিআপএম ইশাক খান জানিয়েছেন, ‘‘আমরা পুরোপুরি তৈরি রয়েছি৷ কীভাবে নতুন করে পরিষেবা শুরু হবে, তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে৷ আমাদের ঠিক যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হবে, আমরা সেভাবে রেল চালাব৷ রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব৷’’
এই প্রসঙ্গে যাত্রীদের জন্য বেশকিছু সর্তকতা জারি করতে চলেছে পূর্ব রেল৷ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে রেল যাত্রীরা স্টেশনে ঢুকলে তাঁদের থার্মাল পরীক্ষা করা হবে৷ জিআরপির সহযোগিতায় এই সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হবে৷ লোকাল ট্রেনে কীভাবে দূরত্ব বিধি বজায় রাখা যায় তা নিয়েও পর্যায়ক্রমে আলোচনা চলছে বলেও জানানো হয়েছে৷ তবে শহরতলীর ট্রেনগুলিতে যে হারে ভিড় হয় অফিস টাইমে, সেখানে শারীরিক দূরত্ব বিদ্ধি আদতে যে আকাশ কুসুম, তা এক বাক্যে স্বীকার করছেন সাধারণ যাত্রীরা৷ এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রেল পরিষেবা চালু হবে তা নিয়ে এখন চুলচেরা বিশ্লেষণে নেমেছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে বেশি সংখ্যায় ট্রেন চালানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন যাত্রীদের একাংশ৷
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, রাজ্য যদি লোকাল ট্রেন ও মেট্রোর চালাতে চাই, তাহলে আপত্তি নেই পূর্ব রেলের৷ সেই মর্মে শুরু হচ্ছে পরিকল্পনা৷ ইতিমধ্যেই হাওড়া ডিভিশনে সমীক্ষা চালিয়েছে রেল৷ যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানিং কীভাবে করা হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা৷ লোকাল ট্রেনে কীভাবে যাত্রীদের থার্মাল পরীক্ষা করানো হবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা৷ সমস্ত বিষয়ে খুটিনাটি জানতে চেয়ে হাওড়া আরপিএফকে নোটিশ পাঠিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ৷ সমস্ত স্টেশনে যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরপিএফ কী ব্যবস্থা নিতে পারে তা জানতে চাওয়া হয়েছে৷ তবে কবে থেকে বাংলায় লোকাল ট্রেন চলবে সেই বিষয়ে রাজ্যের ঘরে বল ঠেলেছে রেল৷ লোকাল ট্রেন চলার বিষয়টি রাজ্যে সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্য সরকার যদি লোকাল ট্রেন চালাতে চাইলে রেল আপত্তি জানাবে না বলেও জানানো হয়েছে৷