নয়াদিল্লি: দেশকে ডিজিট্যাল করার ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তারই ফলস্বরূপ এবার আসতে চলেছে ডিজিট্যাল ভোটার আইডি কার্ড বা ই-এপিক কার্ড। জাতীয় ভোটার দিবসে দেশে চালু হয়ে গিয়েছে ই-এপিক কার্ড৷
জানা গেছে, প্রতিটি ই-এপিক কার্ডে থাকবে একটি করে আলাদা আলাদা সুরক্ষিত কিউআর কোড, সিরিয়াল নম্বর, ভোটদাতার ছবি, পার্ট নম্বর সহ একাধিক তথ্য। মোবাইল বা কম্পিউটারে খুব সহজেই পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করা যাবে এই ডিজিট্যাল ভোটার কার্ডটি। আপাতত অসম, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যকরী করা হবে এই ই-এপিক কার্ড, এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সূত্রের খবর, দুটি ধাপে ভোটারদের মিলবে এই ই-এপিক কার্ড। যার প্রথম ধাপ চালু হয়েছে গতকাল থেকে৷ প্রক্রিয়া চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, এই প্রথম পর্যায়ে যারা নতুন ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন তারা নিজেদের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর দিয়ে ডাউনলোড করতে পারবেন নিজেদের ই-এপিক কার্ডটি।
এছাড়া, ডিজিট্যাল ভোটার কার্ড প্রদানের দ্বিতীয় ধাপ শুরু করা হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই ধাপে সবার জন্য থাকছে ডিজিটাল ই-এপিক কার্ড। এই পর্যায়ে যাদের মোবাইল নম্বর রেজিস্টার্ড রয়েছে এপিক কার্ডের সঙ্গে, তারাই ডাউনলোড করতে পারবেন এই ডিজিটাল এপিক কার্ড। এই কার্ডেও থাকবে সুরক্ষিত কিউআর কোড, ছবি সহ একাধিক তথ্য। যাদের এরপরেও ই-এপিক কার্ড থাকবে না, তারা এই সময়েই আবেদন করতে পারবেন ই-এপিক কার্ডের জন্য। এক্ষেত্রে মোবাইল নম্বর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এই নতুন ডিজিট্যাল ভোটার কার্ডের মাধ্যমে ভোটদানের ব্যবস্থা দেশকে ডিজিট্যাল ভারত হওয়ার পথে যথেষ্ট এগিয়ে নিয়ে যাবে যাবে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তবে কতটা কার্যকরী হয় এই ই-এপিক কার্ডের ব্যবস্থা, সেটাই দেখার।