কলকাতা: নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মী, সমর্থকরা মৌলালিতে ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য দপ্তরের সামনে জমায়েত হতে শুরু করে। বিকালের দিকে হঠাৎই উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বচসা বেধে যায় পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে। অভিযোগ, কোনও এক পুলিশ কর্মী কটূক্তি করেছে। অন্যদিকে, এক পুলিশ কর্মীকে ফেলে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠছে। এই বচসা থেকেই শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এদিকে, সকাল থেকে প্রায় বিকেল গড়িয়ে গেছে কিন্তু যুবনেতা মইদুল ইসলামের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত এখনও শুরুই হয়নি। এর জন্য কলকাতা পুলিশের মর্গেই পৌঁছে গেলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ বেলার দিকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিশ মর্গে। কিন্তু দেরি হচ্ছে দেখে পুলিশ মর্গের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম কর্মীরা। পরে সুজনবাবু ও মান্নানবাবু এসে যোগ দেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের পর ডিওয়াএফআই-এর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হবে মইদুলের মরদেহ। সেখান থেকে বাম-কংগ্রেস যৌথভাবে একটি মিছিলও বের করবে। গুঞ্জন, সেই মিছিলে যোগ দিতে পারেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরিও। প্রসঙ্গত, নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মহিদুল ইসলাম মিদ্যা। ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর শারীরির অবস্থার অবনতি হলে মিদ্যাকে ক্যামাক স্ট্রিটের একটি নার্সিংহোম ভর্তি করা হয়৷ পরবর্তী ক্ষেত্রে সোমবার ভোর ৭টার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বামেদের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, এটি পরিষ্কারভাবে খুনের ঘটনা। পুলিশকে দিয়ে বেধড়ক আক্রমণ করিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। একটা জলজ্যান্ত ছেলেকে খুন করে ফেলেছে এই সরকার। সুজনের সুরে সুর মিলিয়ে বিরোধী নেতা আব্দুল মান্নান বলেছেন, এই স্বৈরাচারী সরকারের যে কাণ্ড ঘটিয়েছে তার প্রেক্ষিতে ধিক্কার দেওয়ার ভাষা নেই তাঁর কাছে। অরাজকতা চলছে সর্বত্র। প্রশাসনের কারোর গায়ে হাত না দিয়ে এইভাবে মারা যেতে হলে ওই কর্মীকে। এর উত্তর সরকারের দেওয়া উচিত। এইভাবে একজন নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে সরকার।