বঙ্গে ভোটের প্রস্তুতি কেমন? ফের রাজ্যে আসছেন সুদীপ জৈন

বঙ্গে ভোটের প্রস্তুতি কেমন? ফের রাজ্যে আসছেন সুদীপ জৈন

কলকাতা: বহু প্রতীক্ষিত বিধানসভা নির্বাচন এক্কেবারে শিয়রে। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। তবে তাদের মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনকে। বাংলাকে পাখির চোখ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। তাই এ রাজ্যের জন্য বাড়তি প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তাই ভোটের সব প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ফের রাজ্যে আসছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। কমিশন সূত্রে খবর, দুদিনের রাজ্য সফরে সুদীপবাবু বাংলার সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক ও বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

নির্বাচনের হাওয়া বওয়া শুরু করতেই গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রাজ্যে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি নির্বাচন কমিশনের সুদীপ জৈন। ডিসেম্বরে তিন দিনের জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছিলেন তিনি। জানুয়ারি মাসে তিনি রাজ্যের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে সাফ জানিয়েছিলেন, “ভোটের সময় নির্বাচন আধিকারিকরা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করলে সরাসরি সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও।” আসন্ন নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহারের উপর বিশেষ নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন। তাই রাজ্যে সুদীপবাবুর বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন আয়কর, সিবিআই, ইডি, ইবি ও পুলিশের শীর্ষ স্থানীয় অফিসাররা।

এবারের নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাংলার উপরে। কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার যেমন কোমড় বেঁধে নেমেছেন বাংলা দখলের লড়াইতে, তেমনি ‘বিনাযুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনী’ও দিতে নারাজ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। তাই একটা গরমাগরমির আভাস প্রথম থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। সে কারণেই ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে চলে এসেছে। তারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় টহলদারি শুরু করে দিয়েছে। সোমবার আরও ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বিএসএফ, আইটিবিপি ও এসএসবি সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি রাজ্যে মোতায়েন করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

রাজ্যের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, “সব প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে। এবার শুধু কেন্দ্রীয় কমিশনের ভোট ঘোষণার অপেক্ষা। গত ডিসেম্বর মাস থেকেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন যা যা নির্দেশ দিয়েছে, সব হুবহু পালন করেছে রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। এখন শুধু ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা অপেক্ষা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *