dvc
কলকাতা: লাগাতার বৃষ্টিতে এখন মাথায় হাত বাংলার মানুষের। সামনে পুজো, তার আগে এমন পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই শঙ্কা জাগিয়েছে পুজোতে বৃষ্টি নিয়ে। আগামী কয়েক দিন যে নাগাড়ে বৃষ্টি হবেই তার আভাসও মিলেছে। কিন্তু বৃষ্টি ছাড়াও বন্যা আশঙ্কা ভিড় করেছে বাংলার মানুষের মনে। সোমবার প্রথম দফাতেই ১ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছিল ডিভিসি। তাতেই সাত জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আরও জল ছাড়ল তারা।
মঙ্গলবার মাইথন জলাধার থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। গতকালের ১ লক্ষ কিউসেক জলের পর আজ আবারও প্রায় সমপরিমাণ জল ছাড়ল দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। এতেই বন্যার আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। টানা বৃষ্টি এবং এই জল ছাড়ার কারণে ইতিমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন নদীর জলস্তর। আশঙ্কা করা হচ্ছে বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রামের গ্রামগুলি বন্যার কবলে পড়বে। ভয়ের আরও কারণ হল, বৃষ্টি আরও বৃদ্ধি পেলে আরও জল ছাড়তে হবে বলে এখনই জানিয়ে দিয়েছে ডিভিসি-র আধিকারিকরা। সুতরাং আগামী দিনে কী হতে চলেছে তার আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে।
রাজ্যের সাত জেলায় পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের নিয়ে সোমবারই নবান্নে হয়েছে বৈঠক। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে হওয়া এই বৈঠকে আসন্ন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কী কী করণীয় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে সুন্দরবনে সব ব্লকে মাইকিং করে সতর্কতামূলক প্রচার শুরু হয়েছে। জেলার প্রতিটি ব্লক অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শঙ্কা, বন্যা হতে পারে পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলিতে।