দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার, কী ভাবে করে চলত অবৈধ কারবার?

দত্তপুকুর: দত্তপুকুরে বিস্ফোরণকাণ্ডের নেপথ্যে বাজি না বোমা, তা নিয়ে বিতর্ক চলার মাঝেই এই ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শফিক আলি। নীলগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত কেরামত আলির সঙ্গে অংশীদারিত্বে এই ব্যবসা চালাত শফিক। এই কারখানাতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ৷ একসঙ্গে মৃত্যু হয় সাতজনের৷ এখনও হাসপাতালে লড়াই করে চলেছেন বেশ কয়েকজন। দত্তপুকুর যে কার্যত বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছিল, তা রবিবারের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। মোচপোলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা গোটা রাজ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ভিন জেলার কারিগরদের এখানে এনে কারবার চালাচ্ছিল কেরামত আলি। সেই ব্যবসায় টাকা ঢেলেছিল শফিক আলি।
কেরামত আলি মোচপোলের বেরুনানপুখুরিয়ার বাসিন্দা। এক সময় নিজের পাড়াতেই বেআইনি বাজির কারবার চালাত সে। সাত বছর আগে সেখানেও বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই ঘটনায় কেরামতের শ্যালিকা–সহ দুই মহিলার মৃত্যু হয়৷ এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা কেরামতকে আর ওই এলাকায় ব্যবসা করতে দেয়নি। পরে মোচপোলে এনতুন করে বেআইনি বাজির কারবার শুরু করে কেরামত। তখন তার কারবাতে টাকা ঢালে এই শফিক আলি। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের কারবারি জিরাত গোটা চক্রের মাস্টারমাইন্ড। জিরাতকে শামসুলের বাড়িতে ভাড়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল কেয়ামত। দত্তপুকুর-কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার করল পুলিশ৷
রবিবার সকালে হঠাৎ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোছপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চল। সেই অভিঘাতে ভেঙে পড়ে একটি দোতলা বাড়ি। বিস্ফেরণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের অন্তত ১০০টি বাড়ি৷ স্থানীয়দের দাবি, এই বাড়িতেই কেরামত এবং সামসুল হাত মিলিয়ে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করত। ওই বাজিই সেখানে মজুত রাখা ছিল। সেটা ফেটেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।