তাহলে কী এবার দর্শকমুক্ত দুর্গাপুজো? জমছে আশঙ্কার মেঘ

তাহলে কী এবার দর্শকমুক্ত দুর্গাপুজো? জমছে আশঙ্কার মেঘ

কলকাতা: মাঝে আছে চার মাস। কিন্তু, নিশ্চয়তা নেই যে করোনার প্রকোপ থেকে বিশ্ব আদৌ মুক্ত হবে কিনা। সেক্ষেত্রে বাঙালির সেরা উৎসবের উপর আশঙ্কার মেঘ জমতে শুরু করেছে। কারণ, কলকাতার বড় পুজো উদ্যোক্তারা অনেকেই চিন্তায় রয়েছেন। বড় আয়োজন করতে চার-পাঁচ মাস সময় তো লেগেই যায়। সব থেকে বড় প্রশ্ন, উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহরের অনেক অংশ এখন কন্টেনমেন্ট জোনের তালিকায়। ওই জায়গা গুলিতেই পুজোর আয়োজন হয়ে থাকে। পুজোর দিনগুলিতে, রাতভর, সারাদিন, লক্ষাধিক মানুষ ভিড় করেন প্রতিমা এবং মণ্ডপ দর্শন করতে। করোনা পরবর্তি শহরের চেহারা কী রকম হবে, রা কে জানে। আপন রঙে কী ফিরবে বাঙালির গর্বের দুর্গোৎসব? উত্তর দেওয়া খুবই কঠিন, কারণ করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে স্বভাবিকত্বের নতুন সঙ্গে তৈরি হওয়ার পথ খোলা থাকছে।

কলকাতা পুলিশ যে কন্টেনমেন্ট জোনের তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে শোভাবাজার স্ট্রিট, হাতিবাগান, বেলগাছিয়া রোড, ক্ষুদিরাম বোস সরণি, নর্দান এভিনিউ, পাইকপাড়া, শেঠপুকুর, নলিন সরকার স্ট্রিট, এপিসি রোড, শ্যামবাজার, বিদন স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণি সহ উত্তর কলকাতার প্রচুর নাম রয়েছে। অন্যদিকে, মধ্য কলকাতার কলেজ স্ট্রিট, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, এম জি রোড, মুচিপাড়া, তালতলা এস এন ব্যানার্জি রোড সহ প্রচুর নাম রয়েছে তালিকায়। দক্ষিণ কলকাতায়, এস পি মুখার্জি রোড, ফার্ন রোড, হাজরা রোড বালিগঞ্জ, একদালিয়া রোড, বালিগঞ্জ প্লেস, রাশ বিহারী এভিনিউ সহ লম্বা লিস্ট রয়েছে।

লক্ষ্যনীয় বিষয় এই যে, এই এলাকাগুলিতে কলকাতার একাধিক বড় বড় পুজো হয়। বছরের ওই নির্দিষ্ট সময় কয়েক লক্ষ মানুষ ওই এলাকায় জমা হয়। সেই পুরোনো দৃশ্য কি আর দেখা যাবে। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অধিকাংশ অফিস আজও বন্ধ। বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই অবস্থায় আগামী চার মাসে জনজীবন স্বাভাবিক হবে তা মনে করছেন না অনেক পুজো উদ্যোক্তা। পৃথিবীতে অনেক বড় বড় খেলা, টুর্নামেন্ট ফাঁকা মাঠে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কলকাতায় দর্শকশূন্য দুর্গাপুজো কী সম্ভব? সেরকম হলে নতুন ইতিহাসে পা রাখবে কলকাতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *