ঘরের মেয়ে নয়, দুর্গা পূজিতা হন দেবী কাত্যায়নী রূপে!

 

b61ba5c58f3d552752e0560b9cf1dc04

 

নদীয়া: ঘরের ময়ে উমা নয়, এখানে দুর্গা পূজিতা হন দেবী কাত্যায়নী রূপে৷

নদীয়ার শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়ির পুজো শতাব্দী প্রাচীন। জানা যায় মথুরেশ গোস্বামীর আমল থেকেই এই পুজো শুরু হয়৷ এখনও বংশ পরম্পরা পূজিত হয়ে আসছেন  দেবী কাত্যায়নী। প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো এই পুজো। কর্মসূত্রে বড় গোস্বামী বাড়ির বেশকিছু বংশধর বাইরে রয়েছেন৷ তবে ফি-বারই দেবীর আরাধনার আগেই বড় গোস্বামী বাড়ির বংশধরেরা একত্রিত হয়ে ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে ঢাকের তালে দেবীর আরাধনায় মেতে ওঠে। প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে প্রথা অনুযায়ী অনেক নিয়ম আছে যা চলে আসছে প্রায় সাড়ে তিনশো বছর ধরে৷ সেই প্রথামেনেই দেবীর নিরঞ্জন যাত্রা শুরু হয় এখনও।

কি কারণে দেবী কাত্যায়নীর নামে পূজিত হন ? রয়েছে তার পিছনে ইতিহাস৷ কি সেই ইতিহাস?  জানা যায় প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে কৃষ্ণমূর্তি চুরি হয়ে যায়৷ তারপর বাড়ির মহিলারা দেবী কাত্যায়নীর ব্রত শুরু করেন। কথিত আছে , ব্রত শুরু করার পর উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া কৃষ্ণমূর্তি। এরপর থেকেই শুরু হয় দেবী কাত্যায়নীর আরাধনা। তারপর থেকেই প্রতিবছরই দেবী কাত্যায়নীর আরাধনা হয়ে আসছে এই বড় গোস্বামী বাড়িতে। প্রাচীন মন্দিরের চিত্রতেই উঠে আসে প্রাচীনত্বের কথা৷ আজও বংশপরম্পরায় কোন দিকেই খামতি নেই দেবী কাত্যায়নীর আরাধনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *