পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করায় সোনু সুদকে কুর্নিশ জানিয়ে মূর্তি পুজো মণ্ডপে, কৃতজ্ঞতা জানালেন অভিনেতা

কলকাতা: শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজো। এ বছর পরিস্থিতি বাকি বছরগুলি থেকে অনেকটাই আলাদা। করোনা প্রাণ নিয়েছে হাজারেরও বেশি মানুষের। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সঙ্গে সামনে থেকে লড়া করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তেমনই পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর কাজ করেছেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম সোনু সুদ। হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে তাঁদের বাড়ি যেতে সাহায্য করেছেন তিনি। তাই এ বছর দুর্গাপুজোর একটি মণ্ডপ তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছে।

cd43cd0de86ef26bd6b2a75a7e9d4c10

 

কলকাতা: শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজো। এ বছর পরিস্থিতি বাকি বছরগুলি থেকে অনেকটাই আলাদা। করোনা প্রাণ নিয়েছে হাজারেরও বেশি মানুষের। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সঙ্গে সামনে থেকে লড়া করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তেমনই পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর কাজ করেছেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম সোনু সুদ। হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে তাঁদের বাড়ি যেতে সাহায্য করেছেন তিনি। তাই এ বছর দুর্গাপুজোর একটি মণ্ডপ তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছে।

করোনা ভাইরাসের সময় লকডাউনের কারণে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন তাঁদের কর্মক্ষেত্রে। তখন তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন এই বলিউড অভিনেতা। লকডাউন চলাকালীন পরিযায়ী শ্রমিকদের তাঁদের বাড়িতে ফিরে যেতে নিঃস্বার্থভাবে সহায়তা করেছিলেন তিনি। অভিনেতার সেই অবদাব চিত্রায়িত হয়েছে কলকাতার কেষ্টপুর প্রফুল্ল কানন দুর্গাপুজোয়। সেখানে অভিনেতার আকারের একটি মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। তাঁর মূর্তির পাশে বাসের আকৃতিও রয়েছে। প্রথমে যখন সোনু সুদ কাজ শুরু করেন তখন তিনি বাসের সাহায্যই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পাঠিয়েছিলেন। তবে শ্রমিকদের গন্তব্যে পৌঁছাতে তিনি শুধু বাসের ব্যবস্থা করেছিলেন এমন নয়। তাঁদের বাড়িতে পৌঁছাতে সহায়তার জন্য সারা দেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বাসের পাশাপাশি ট্রেন এবং বিমানের ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি। পরিযায়ী শ্রমিকদের সংকট ও তা থেকে মুক্তির কয়েকটি মুহূর্তও প্যান্ডেলে প্রদর্শিত হয়েছে।

তাঁকে এভাবে কুর্নিশ জানানোয় আপ্লুত সোনু সুদ। প্যান্ডেলের ছবি টুইটারে শেয়ার করেছিলেন এক ব্যক্তি। অভিনেতা সেটি রিটুইট করে নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। লিখেছেন এটি তাঁর জীবনের সর্বশ্রেষ্ট পুরস্কার।

অন্যান্য বছর এই সময় জনজোয়ারে ভাসে তিলোত্তমা। কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রম। তবে তা সত্ত্বেও দিন দুই ধরে শ্রীভূমি সহ একাধিক মণ্ডপে দর্শনার্থীরা ভিড় করেছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর প্যান্ডেলে যাওয়ায় বাধা পড়েছে। এ বছর কলকাতার একাধিক মণ্ডপে উঠে এসেছে করোনা, লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা। বড়িশা ক্লাবের প্রতিমা ইতিমধ্যেই সবার চোখ টেনেছে। কলকাতার আর একটি মণ্ডপে দুর্গাকে চিকিৎসকের আদলে সাজানো হয়েছে। লক্ষী, কার্তিক, গণেশ, সরস্বতীও করোনা যোদ্ধাদের আদলেই সেজে উঠেছেন। কিন্তু দুর্গাপুজোয় যদি দর্শনার্থী সংখ্যা বাড়তে থাকে তাহলে পাল্লা দিয়ে বাড়বে করোনা সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ৩.২ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৬ হাজারেরও বেশি। তাই সৌরভ চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছে রাজ্যের সমস্ত প্যান্ডেলগুলি কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হল। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *