কলকাতা: শুক্রবার সকাল উত্তাল হয়েছিল বেহালা চৌরাস্তা। ৭ বছরের এক শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পুলিশ গাড়ি, বাইক ভাঙচুর করা থেকে শুরু করে আগুন লাগানো সবই হয়। আসলে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুতে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগই তোলা হয়েছে। এই ঘটনার একদিনের মধ্যে টনক নড়ল তাদের। বেহালা চৌরাস্তা সংলগ্ন ব্যস্ত ডায়মন্ড হারবার রোডের জায়গায় জায়গায় ড্রপ গেট এবং ব্যারিকেড বসানো হয়েছে।
বেহালা চৌরাস্তা সংলগ্ন ডায়মন্ড হারবার রোড গতকাল আগুন এবং কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল। জনতার রোষ আটকাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে, লাঠিচার্জও করে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাস্তাঘাট স্বাভাবিক হলেও মানুষের ক্ষোভ যে কমেনি তা স্পষ্ট। কিন্তু দুর্ঘটনা এড়াতে এবার প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। গতি কমিয়ে চলাচল করানো হচ্ছে আলিপুর এবং ঠাকুরপুকুরগামী যানবাহন। সিগন্যালের লাল আলো জ্বলার পর গাড়ির গতিবিধি এবং রাস্তা পারাপার করা জনতার দিকেও তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পুলিশ। এদিকে ফুটপাথ এবং রাস্তার সংযোগস্থলে যে জায়গা দিয়ে পথচারীরা রাস্তা পারাপার করেন, সেখানে এই ড্রপ গেট লাগানো হয়েছে।
যদিও সাধারণ মানুষের একাংশের দাবি, এই তৎপরতা আগে দেখানো হলে ওইটুকু শিশুর মৃত্যু হত না। কিন্তু এত দিন ধরে একে বারেই পুলিশি তৎপরতা দেখা যাচ্ছিল না ডায়মন্ড হারবার রোডে। আচমকা এক মৃত্যুতে তাদের মতিগতি বদলেছে। তবে এই বদল কতদিন স্থায়ী হবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।