পরীক্ষামুলকভাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কাজ শুরু

পরীক্ষামুলকভাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কাজ শুরু

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস জোড় দিয়েছিল ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে। ভোটের আগে নির্বাচনী ইশতেহারেও এই প্রকল্প নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জোড়াফুল শিবির। এবার কথা মতো পরীক্ষমূলকভাবে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প শুরু করল রাজ্য সরকার। সমস্তরকম করোনা বিধি মেনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশনের খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেওয়া হবে।

রাজ্যে আজ থেকে পরীক্ষামুলকভাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে৷ আজ সকালে ৬টি অঞ্চলের ২৩৪জন নির্বাচিত রেশন গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে এই সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়৷ খাদ্য দফতর, স্থানীয় পুরসভা এবং রেশন ডিলারদের সহযোগিতায় হুগলির বাঁশবেড়িয়া, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, হাওড়ার বালি-বেলুড়, উত্তর কলকাতার আরমাস্ট্রিট দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরের নির্বাচিত কয়েকজন গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের হাতে এই সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে বলে খাদ্য দফততর সূত্রে জানা গিয়েছে৷

উল্লেখ্য নির্বাচনের পরেই রাজ্যে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন৷ গত মঙ্গলবার ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প নিয়ে খাদ্য দফতরের সচিবের সঙ্গে বৈঠক হয় ফুড কমিশনারের। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। বৈঠকে ছিলেন রেশন ডিলারদের সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া শেয়ার প্রাইস শপস ডিলার’-এর প্রতিনিধিরা। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় একটি করে রেশন দোকানের মাধ্যমে এই পরিষেবা শুরু করা হবে। সেই মর্মে কলকাতার ৬টি দোকান-সহ মোট ২৮টি রেশন দোকানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প চালানোর জন্য রেশন ডিলারদের প্রতি কুইন্টালে ২০০ টাকা করে কমিশন দেওয়া হবে। প্যাকেজিং বাবদ আলাদা খরচও দেওয়া হবে। প্রথম ১৫ দিন রেশন ডিলাররাই এই প্রকল্পের জন্য জিনিসপত্র বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করবেন। তবে ভৌগোলিক কারণে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলাগুলি ও দুর্গম এলাকাগুলিতে এই প্রকল্প এখনই চালু করা যাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *