কলকাতা: বেকারত্বের হার নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা মারলো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এ দিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন মন্তব্য করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বেকারত্বের হার থেকে বাংলায় বেকারত্বের হার অনেকটাই কম। প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এতদিন ধরে শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই দেয়নি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কাজে করে দেখিয়েছে।
এদিন রাজ্যসভার সাংসদ পরিসংখ্যান তুলে ধরে বেকারত্বের হার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিয়ে বলেন, জাতীয় বেকারত্বের হার যেখানে ২৩.৪৮ শতাংশ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলায় বেকারত্বের হার ১৭.৪১ শতাংশ। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এই বিজেপি সরকারের আমলে দেশের বেকারত্বের হার বিগত ৪৫ বছরের সবচেয়ে খারাপ। কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলায় এত প্রতিকূল অবস্থা থাকা সত্ত্বেও বেকারত্বের হার জাতীয় হাড়ের থেকে কম। দোলার কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসেবে তিনি গর্বিত। তিনি বলেন, একটা অঙ্গরাজ্য হিসেবে, সিপিএমের দু’লক্ষ তিন হাজার কোটি টাকা ধার নিয়ে, চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ-আসল শোধ করার পরেও রাজ্যে কতগুলি প্রকল্প চলছে এবং বেকারত্বের হার এত কমানো সম্ভব হয়েছে।
সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন আরো বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে যেখানে সারা দেশে এক কোটি চাকরি চলে গেছে, সেই জায়গায় পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ কমেছে এই ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও। এই সাংবাদিক বৈঠক থেকেই টলিউডের বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখ আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। এদিকে গতকালই বাজেটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, বর্তমানে বিভিন্ন বিভাগে ৫০ হাজার এবং পুলিশে ৭,২৯১ টি পদ খালি আছে। সেই প্রেক্ষিতে তিনি প্রস্তাব রাখছেন আগামী তিন বছরে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন বিভাগে এবং পুলিশে শূন্য পদে নিয়োগ সম্পন্ন করবে রাজ্য সরকার।আগামী ৫ বছরে সরকারি এবং বেসরকারি স্তরে এবং স্বনিযুক্তি মূলক কর্মসংস্থানকে ধরে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।