কলকাতা: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে কলকাতা হাইকোর্ট একাধিক বিধিনিষেধ জারি করলেও বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। তৃতীয় থেকেই রাস্তায় মানুষের ঢল দেখতে পাওয়া গিয়েছে, আজ সপ্তমীতেও একই রকম চিত্র ধরা পড়বে বলেই অনুমান। আর এই পরিস্থিতির দিকে তাকিয়েই প্রচন্ড আশঙ্কা চিকিৎসক মহলের। কারণ তারা মনে করছেন যে মানুষের এই অসাবধানতা খুব তাড়াতাড়ি করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ ডেকে আনতে পারে। তাই চিকিৎসকদের অধিকাংশ সকলকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন।
আজ এসএসকেএম হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিশিষ্ট চিকিৎসক। তারা প্রত্যেকেই বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সকলকে ওয়াকিবহাল করার চেষ্টা করেন এবং উৎসব মরসুমে যেন প্রত্যেকের সাবধানতা অবলম্বন করে সেই পরামর্শ দেন। তাদের কথায়, উৎসব পালন করতে গিয়ে কেরলের অবস্থা সঙ্গীন হয়ে গিয়েছে, সেই একই রকম পরিস্থিতি যাতে পশ্চিমবঙ্গের না হয় সেই দিকে নজর রাখতে হবে। উৎসব শেষ হবার পর যাতে হাসপাতালে ভিড় করতে না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রেখে চলতে হবে সাধারণ মানুষকে। কারণ অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের আওয়াজ এবং আইসিইউয়ের টুংটাং শব্দ কেউই পছন্দ করেন না স্বাভাবিক নিয়মেই। তাই সেই সব জিনিস যাতে কারোর জীবনে ফিরে না আসে তাই এখন থেকেই সাবধান হতে হবে। বিশিষ্ট ওই চিকিৎসকরা এও মনে করিয়ে দেন, এখনো পর্যন্ত শিশুদের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি এবং তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি। তাই পুজোর মধ্যে শিশুদের নিয়ে বাইরে বেরোনো প্রচন্ড মারাত্মক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তারা। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের আরো বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসক মহল।
এদিকে আবার আজ শিশুদের করোনো ভাইরাস ভ্যাকসিনে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। খুব তাড়াতাড়ি দেশের ২ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কিশোরদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। উৎসবের সময় এটা খুশির খবর হলেও এখন তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আতঙ্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ সাধারণ মানুষের অসচেতনতা এবং অসাবধানতা।