কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার বাকি আর মাত্র ৪ দিন। নির্বাচনকে ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তাই তুঙ্গে। উত্তর থেকে দক্ষিণ কিংবা পশ্চিম, নীল বাড়ি দখলের লড়াইয়ে রাজনৈতিক দলগুলি জোরকদমে গলা ফাটাচ্ছে। কিন্তু মাত্র গত বছরেই যে জনজীবনকে গ্রাস করেছিল অতিমারীর ছায়া, এ রাজ্যের ভোট পূর্ববর্তী ছবিটা দেখে তা বোঝার উপায় নেই একেবারেই।
করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্যাকসিন সত্ত্বেও ফের ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। দিনের পর দিন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির এই ছবি রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসকদের। এ রাজ্যেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে। উর্দ্ধমুখী এই করোনা গ্রাফের দিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই রাজনৈতিক দলগুলির। ভোটের আগে সকলেই বিরাট জনসমাগম করে প্রচারে মত্ত। এহেন পরিস্থিতিতেই এবার জনসচেতনতা বৃদ্ধির স্বার্থে আদালতের দ্বারস্থ হলেন চিকিৎসকরা।
করোনা আবহে স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে ক্রমাগত রাজনৈতিক জনসমাগম এবং সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত ঔদাসীন্যের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে।জনৈক সোমনাথ রায় সহ বেশ কয়েক জন ব্যাক্তি এই মামলা দায়ের করেন। আগামী শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যে দেশে শুরু হয়ে গেছে তা স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্বীকার করেছে আগেই। এই ব্যাপারেই উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজনৈতিক দলগুলির জনসমাগমে লাগাম দেওয়ার আর্জি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের স্বনামধন্য চিকিৎসকরা। কিন্তু অভিযোগ, সেই চিঠির আবেদনে কর্ণপাতই করেনি কমিশন।
এদিন মামলাকারি সোমনাথ রায়দের আইনজীবী শমিক বাগচী জানান, করোনার ভ্রুকুটিকে তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন যেভাবে বেপরোয়া মানসিকতা নিয়ে মানুষ রাস্তায় নামছেন, দেদার চলছে নির্বাচনী প্রচার, জমায়েত, তাতে যে কোনো সময় নতুন বিপদের মুখোমুখি হতে হবে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে মামলায় তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সমস্ত ক্ষেত্রে কোভিড বিধি মানা হয়েছে কিনা, তারও কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।