মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে চাকরি ছাড়লেন বিলেতের বাঙালি চিকিৎসক, যোগ দিলেন সরকারি হাসপাতালে

মুখ্যমন্ত্রীর একটা মাত্র ফোন। আর তাতেই বিদেশের চাকরি ছাড়লেন বাংলার যুবক। সম্প্রতি কলকাতার বুকে ঘটেছে এমনই একটি ঘটনা। চিকিৎসক কৌশিক মজুমদারকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে বলেছিলেন, “তোমার মতো বিলেত ফেরত ছেলেদের আমার দরকার। বিধাননগরে একটা ব্যবস্থা করলাম। পরে একবার দেখা কোরো।” তারপই একটি চিঠি। এরপর আর সাতপাঁচ ভাবেননি কৌশিকবাবু। বিলেতের মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে দিয়ে সোজা চলে আসেন বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসক হিসাবে কাজ শুরু করেন।

মুখ্যমন্ত্রীর একটা মাত্র ফোন। আর তাতেই বিদেশের চাকরি ছাড়লেন বাংলার যুবক। সম্প্রতি কলকাতার বুকে ঘটেছে এমনই একটি ঘটনা। চিকিৎসক কৌশিক মজুমদারকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে বলেছিলেন, “তোমার মতো বিলেত ফেরত ছেলেদের আমার দরকার। বিধাননগরে একটা ব্যবস্থা করলাম। পরে একবার দেখা কোরো।” তারপই একটি চিঠি। এরপর আর সাতপাঁচ ভাবেননি কৌশিকবাবু। বিলেতের মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে দিয়ে সোজা চলে আসেন বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসক হিসাবে কাজ শুরু করেন।

ইংল্যান্ডে যা পারিশ্রমিক পেতেন, এখানে তার পাঁচভাগের একভাগ পান। কিন্তু তাতে আক্ষেপ নেই। এমআরসিপি, এফআরসিপি করা বয়স্করোগ বিশেষজ্ঞ কৌশিকবাবু বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে হাসিমুখেই রোগী দেখছেন। একসময় যিনি বিদেশি মুদ্রায় রোগী দেখার ফি নিতেন, এখন তাঁর ফি মাত্র দু’টাকা। তিনি এখন স্থির করেছেন বিধাননগর হাসপাতালকে বয়স্করোগ চিকিৎসার উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। জুন মাসে লন্ডন থেকে কলকাতায় ফিরে এতদিনে বহু মানুষকে বাঁচিয়েছেন। বাগবাজারের এই ডাক্তারবাবু অনেককে করোনার কবল থেকেও সুস্থ করে তুলেছেন। চিকিৎসা করতে গিয়ে নিজেও করোনায় ভুগেছেন। সুস্থ হয়ে আবার শুরু করেছেন কাজ।

তিনি জানান, ১৯৯৮ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত লন্ডনে চাকরি করেছেন তিনি। তারপর লন্ডন ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াত ও কাজকর্ম চলত। কলকাতাতেই কিছু করতে চেয়েছিলেন তিনি। ইচ্ছা ছিল তাঁর বিদ্যা যেন বাংলার মানুষদের সেবায় লাগে। একথা বন্ধু অধ্যাপক ডা. সুকুমার মুখোপাধ্যায় ও রাজ্য মহিলা কমিশনের অধিকর্তা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে বলেওছিলেন তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ফোন পাওয়া তাঁর কাছে অপ্রত্যাশিত। নভেম্বরে তাঁর লন্ডনে ফিরে গিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ফোন ও চিঠি পাওয়ার পর সেদিকে আরে ফিরেও তাকাননি তিনি। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এখন থেকে বাংলায় থেকেই বয়স্ক মানুষদের সেবা করবেন।

রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, করোনা সময় অনেকেই দেশে ফিরে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছিলেন। কৌশিকবাবু তাঁদের মধ্যে একজন। তাঁর মতে, বর্তমানে এই রাজ্য স্বাস্থ্য পরিষেবায় অনেক উন্নত। করোনা পরিস্থিতিতেও এই রাজ্যের চিকিৎসা প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ফলে বহু চিকিৎসক রাজ্যেই কাজে যোগ দিতে চাইছেন। এতদিন পশ্চিমবঙ্গে বেসরকারি ক্ষেত্রে কয়েকজন বয়স্করোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। সরকারি ক্ষেত্রে ডা. কৌশিক মজুমদারই প্রথম বয়স্করোগ বিশেষজ্ঞ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 2 =