কলকাতা: স্বাধীনতার পর ৭০ বছর কেটে গেলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আজও প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ বাঙালি গৃহহীন৷ সেই সকল গৃহহীন বাঙালি শরণার্থীরা ওড়িশা, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, ছত্তিসগড়, অসম, বিহার ও আন্দামানে আজও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য৷
সম্প্রতি, নিখিল ভারতীয় বাঙালি উদ্বস্তু সমন্বয় কমিটি ভারতে বাঙালি উদ্বাস্তুদের বিস্তারিত তথ্য ভাগ করে নিয়েছে। এই নতুন নথি থেকে এই ধারণা উঠে আসছে যে, এই বাংলাদেশী উদ্বাস্তুদের এখন আরও বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। বুধবার সমন্বয় কমিটি জানায়, খসড়া নাগরিক পঞ্জী বা এনআরসি-র কারণে ওই সকল বাঙালি তাদের নাগরিকত্ব হারাতে পারেন৷
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৩৫,০০০ জন শরণার্থী কর্ণাটকে বসবাস করছেন৷ ছত্তিশগড়ের বস্তরে প্রায় এক লাখ বাঙালি মানুষ আছে। নিখিল ভারত বাঙালি উদ্বাস্তু সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান সুভাষ বিশ্বাস বলেন, এটি বাঙালি অধিবাসীদের জন্য সুসংবাদ নয়। তিনি সম্প্রতি আসামের তিনসুকিয়াতে পাঁচটি বাঙালি হত্যার কথা উল্লেখ করে বলেন যে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ উচিত এই উদ্বাস্তুদের সাহায্য করা। দেশের অন্যান্য রাজ্যে বাঙালি উদ্বাস্তুদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসামে ৭৫ লাখ বাংলা ভাষাভাষী মানুষ শরণার্থী হিসাবে লড়াই করছেন। একইভাবে একইভাবে উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে ২৫ লাখ, ওড়িশায় ৩০ লাখ, মধ্য প্রদেশে ১১ লাখ, ছত্তিশগড় ও ঝাড়খন্ডে পাঁচ লাখ করে বাঙালিভাষী শরণার্থী আজ পর্যন্ত বাসস্থান ও মৌলিক অধিকারের জন্য লড়ে যাচ্ছে|