নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: তুষারধসে বিদ্ধস্ত উত্তরাখন্ড৷ ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের কবলে বাংলার তিন শ্রমিক৷ খোঁজ মিলছে না তাদের৷ যার জেরে চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারের৷ শনিবার মহিষাদলের চকদ্বাড়িবেড়িয়ার সুদীপ গুড়িয়া ও লক্ষ্যার ট্যাংরাখালির লালু জানা ও বুলা জানা এই তিন শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী৷ এদিন শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন সাংসদ৷ সাংসদকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাদের পরিবারের সদস্যেরা৷
কোথাও আছে তারা? আদেও কী তারা ফিরবেন? এই চিন্তাই এখন গ্রাস করছে নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারকে৷ এদিন তাদের সঙ্গে দেখা করার পর সাংসদ জানান, “এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা৷ পরিবার খুব উদ্বিগ্ন রয়েছে৷ স্থানীয় সাংসদ হিসেবে যতটা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে ততটা করছি৷ উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি তাদের উদ্ধার করার যাতে ব্যবস্থা করা হয়৷ প্রয়োজন হলে রাজ্যের মুখ্যসচিবের দ্বারা যোগাযোগ করার চেষ্টা করব৷”
রবিবার উত্তরাখণ্ডের দূর্যোগ সম্পর্কে জানতে পারলে তড়িঘড়ি খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করে এই তিন শ্রমিকের পরিবার সদস্যরা। কিন্তু এখনও যোগাযোগ করা যায়নি ওই তিন শ্রমিকের সঙ্গে৷ হিমবাহ আছড়ে পড়ে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায়। যেখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদী। তুষারধসের জেরে নদীতে জলের স্রোত বেড়ে যায়। হুড়মুড়িয়ে এগিয়ে আসে জল-পাথর-বরফ। রেইনি গ্রামে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মীরা সেই ভয়ঙ্কর বেগে ছুটে আসা জলের গ্রাসে পড়েন। সেই শ্রমিকদের খোঁজ চলছে। এদিকে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারের৷