কলকাতা: নবম-দশম শ্রেণির মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। চাকরিহারাদের অস্বস্তি তাই বজায় থাকছে। এদিন স্পষ্ট জানান হয়েছে, কোনও স্থগিতাদেশ নয় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কমিশন সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে চাকরি থাকবে কি না। এতএব, ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম, সিলিন্ডার পিছু কত টাকা গুণতে হবে কলকাতায়?
আদালতের বক্তব্য, ন্যাচারাল জাস্টিস কোনও স্ট্রেট জ্যাকেট হতে পারে না। ওএমআর শিট বিকৃতি হয়নি বা এটা তাদের নয় বলে কোনও মামলাকারী বলেননি। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আইনে চলার ক্ষমতা আছে। সেক্ষেত্রে কমিশন মনে করলে চাকরি থাকবে না। জানাল আদালত। এই মামলায় হাইকোর্টে এসএসসি জানিয়েছিল, কমিশনের অফিসের সব ওএমআর সিট নষ্ট করা হয়েছে। কোনও হার্ড কপি নেই। তবে ডিজিটাল মাধ্যমে সব প্রার্থীর তথ্য সংরক্ষণ করা আছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ নবম-দশম শ্রেণির মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিল। বুধবার সেই রায় দেওয়া হল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”অন্তরাল থেকে এই প্রথম মুখ খুললেন হৈমন্তী! Haimanti Ganguly speaks up finally” width=”560″>
চাকরিপ্রার্থী মামলকারীদের বক্তব্য, গাজিয়াবাদের নাইসা নামে একটি সংস্থাকে ওএমআর সিটের বরাত দিয়েছিল এসএসসি। এই মামলার তদন্তে সিবিআই সেখান থেকেই আসল ওএমআর সিট উদ্ধার করে। এর পরই বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, এসএসসি-কে আইন অনুযায়ী নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া ৭ দিনের শুরু করতে হবে। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন চাকরি হারানো শিক্ষকেরা। ওদিকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশে ৮০৫ জনের মধ্যে ৬১৮ জনের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল এসএসসি। ওই নির্দেশ বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ।