কলকাতা: দলকে আরও শক্তিশালী করতে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে স্বীকৃতি দেওয়া হল ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতিকে৷ আর এই নীতিকে মান্যতে দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত, এবার থেকে জেলা সভাপতিরা আর মন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না৷
আরও পড়ুন- সংগঠনে একাধিক রদবদল, এবার বাংলার বাইরে দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য, বললেন পার্থ
প্রসঙ্গত, কোন কোন জেলায় খারাপ ফল হয়েছে সেই তালিকা বিশ্লেষণে বসেছিলেন দলনেত্রী৷ সেই সময়ই তিনি বলেন জেলা সভাপতিরা আর মন্ত্রী পদে থাকবেন না৷ এক মাসের মধ্যেই জেলাস্তরে রদবদল করা হবে৷ সেই সঙ্গে তাঁর কড়া নির্দেশ, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে হবে৷ দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পে কারও হস্তক্ষেপ বরাদাস্ত করা হবে না৷ পাশাপাশি তাঁর নির্দেশ, ফেসবুক-টুইটারে যা ইচ্ছে তাই লেখা যাবে না৷ দল জেলার বিধায়কদের কাছ থেকে টাকা চায় না৷ তাই অযথা লালবাতি লাগিয়ে ঘুরবেন না৷
পাশাপাশি এদিন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয় তাঁকে৷ তৃণমূল রাজ্য যুব সভাপতি হন সায়নী ঘোষ৷ এছাড়াও তৃণমূলের সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূলের সভাপতি করা হয়েছে কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী হচ্ছেন দোলা সেন। রাজ্য তৃণমূলের সংস্কৃতি শাখার সভাপতি হলেন বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। প্রাক্তন বিধায়ক পূর্ণেন্দু বসুকে করা হল খেতমজুর শাখার সভাপতি৷ INTTUC-র সভাপতি হচ্ছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়৷