সিউড়ি: ফের বিকৃত মন্তব্যের রাজনীতি বীরভূমে। অনুব্রত মণ্ডলের পর এবার বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল। ২০২১ সালে ক্ষমতায় এসে তৃণমূলের দূর্ণীতিগ্রস্ত নেতাদের বুকে পা দিয়ে টাকা আদায়ের হুঁশিয়ারি দিলেন শ্যামাপদ মন্ডল।
বীরভূমের রাজনীতি সৌজন্যবোধের থেকে কুকথার জন্য অধিক পরিচিত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। সৌজন্যে অবশ্যই যু্যুধান দলগুলির নেতারা। অনুব্রত মণ্ডল তাঁর হুঁশিয়ারির জন্য ইতিমধ্যেই অন্যতম বিতর্কিত নেতা হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তারা চরাম চরাম ঢাক বাজানো, উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকার হুমকি সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। আর হালফিলে তার বক্তব্য 'সুঁটিয়ে লাল করে দেবো' হিট হয়ে গিয়েছে।
এবার সেই বীরভূমে ফের কুকথার রাজনীতি। এবার অবশ্য বক্তা বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। শুক্রবার সিএএ-র সমর্থনে দুবরাজপুরে অভিনন্দন যাত্রা করে বিজেপি। ছিলেন রীতেশ তেওয়ারি, বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল, দুই প্রাক্তন জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় ও দুধকুমার মন্ডল। মিছিল শেষে একটি সভা আয়োজিত হয়। সেখানেই শ্যামাপদ মণ্ডল তৃণমূল নেতাদের সম্পর্কে বলেন, 'কয়েকজন নেতা রয়েছেন যাদের পাঁচ কাঠা জায়গা ছিল না। পাঁচশ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল না। অথচ আজ তারা পাঁচ কোটি টাকার মালিক। বিভিন্ন শহরে জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন। তাদের পরিবর্তন হয়েছে।' এরপরই তিনি হুমকির সুরে বলেন, 'আপনাদের বাড়ির কেউ জলে ডুবে গেলে তাঁকে তুলে নিয়ে এসে ঘোরানো হয়। পেটে চাপ দিয়ে জল বের করা হয়। ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরাও সেরকম ওই নেতাদের তুলে আনবো। তারপর ঘোরাবো। পেটে হাত নয় পা দিয়ে চাপ দেবো। টাকা আদায় করবো।'
শ্যামাপদ মণ্ডলের বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতর। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য লোক নেই। তাই ভয় পেয়ে এখন হুমকি দিয়ে নিজেদের ভোট বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে এই হুমকি দিয়ে লাভ হবে না বলেই দাবি করেছেন তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, বিজেপির নেতাদের বক্তব্য, অনুব্রত মণ্ডল যে ভাষায় কথা বকেন ও বোঝেন তাঁকে সেই ভাষাতেই জবাব দেওয়া উচিৎ। সেই কাজটাই করছেন বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের মতে জমে উঠেছে মণ্ডল বনাম মণ্ডলের বাক লড়াই। দুই নেতার মন্তব্য শুনে রীতিমত লজ্জিত বীরভূমবাসীর একাংশ৷