নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: রাজ্যজুড়ে শুরু হল দুয়ারে দুয়ারে সরকার৷ জেলায় জেলায় ক্যাম্পে ভিড় জনতার৷ মানা হচ্ছে না দুরত্ববিধি! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে নির্দেশ মতো মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে গেল দুয়ারে দুয়ারে সরকার৷ উত্তরবঙ্গে থেকে দক্ষিণবঙ্গ প্রতিটি জেলায় জেলায় বসেছে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প৷ আর সেই ক্যাম্পগুলিতেই উপচে পড়ল মানুষের ভিড়৷ করোনা আবহে যখন বলা হচ্ছে দূরত্ববিধি মেনে চলতে, তখন রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে পরিষেবা পেতে ভিড় সাধারণ জনতার৷
বীরভূম, সুন্দরবন, বারাসত থেকে শুরু করে বালুরঘাট৷ সর্বত্রই বসেছে দুয়ারে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প৷ মূল লক্ষ্য সেসব মানুষ এতদিন রাজ্য সরকারের প্রকল্প সুবিধা পাননি, বা পেলেও নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন সেই সমস্যার সমাধান করবেন সরকারী কর্মী-আধিকারিকেরা৷ তবে ক্যাম্পগুলিতে করোনা আবহে যে পরিমাণ মানুষের ভিড় হচ্ছে তাতে প্রশ্ন উঠছে এতদিন কী সরকারী পরিষেবা থেকে বঞ্চিত ছিল সাধারণ মানুষ? মঙ্গলবার বারাসতের ২ নং ব্লকের খড়িবাড়ি চৌমুহা হাই স্কুলে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে ভিড় উপচে পড়ল মানুষের৷ সেখানে অনেকের মুখেই নেই মাস্ক৷ বালাই নেই শারীরিক দুরত্ব বিধি মেনে চলার৷ আধিকারিকেরা দুরত্ব মেনে চলার কথা বললেও কে শুনছে কার কথা৷
এদিকে বালুরঘাট পৌরসভাতেও শুরু হয়েছে দুয়ারে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প৷ ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত সমগ্র রাজ্যে চলবে এই ক্যাম্পগুলি৷ এদিন বালুরঘাটেও পরিষেবা নিতে ভিড় করেন মানুষ৷ উপভোক্তদের মতে সরকারের এই উদ্যোগের ফলে লাভবান হবেন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত মানুষেরা৷ অন্যদিকে সকাল থেকে ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ নিয়ে ভিড় বীরভূমের সিউড়ি ২ ব্লকের পঞ্চায়েত অফিসে। একাধিক অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ সাধারণ মানুষ। এদিন সিউড়ি ২ ব্লকের একাধিক পঞ্চায়েত এলাকা থেকে নিজেদের অভিযোগ নিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। কেও আসেন কৃষক বন্ধু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য, তো কেও এসেছেন যে আবাস যোজনার প্রকল্পের জন্য। অভিযোগ করতে আসা মানুষদের দাবি, এখানে অভিযোগ তো জানান হল। কাজের কাজ হলে ভাল। না হলে কেবল কষ্ট করে অভিযোগ জানানো সার হবে।
এদিন সুন্দরবনের গোসাবা ,ক্যানিং-১ ও ২, বাসন্তী ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকায় জলপথে এবং স্থল পথে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে হাজির হল প্রশাসন। আর এই কমসূচীতে সাধারণ মানুষের লম্বা লাইন ছিল চোখে পড়ার মতন৷ কিন্তু এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে একাধিক? বিভিন্ন ক্যাম্পে মাস্ক থাকলেও পালন হচ্ছে না দূরত্ববিধি৷ দূরত্ববিধি পালনে কেন কোনও আগাম ব্যবস্থা করা গেল না? কেন এত ভিড়? তাহলে কি সাধারণ মানুষ সরকারি পরিষেবা থেকে এতদিন বঞ্চিত হয়ে হয়েছেন? নাকি পরিষেবা ঠিকঠাক জনতার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়নি? তাই কি ভোটের আগে সরকারকে জনতার কাছে পৌঁছতে হল, তাও আবার করোনা আবহে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে৷