কলকাতা: প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই বিদ্রোহের সুর তৃণমূলের অন্দরে৷ টিকিট না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন নলহাটির বিদায়ী বিধায়ক মইনুদ্দিন সামসের৷ তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন তিনি৷ চোখে জল আরাবুল ইসলাম, সোনালী গুহর৷ আবার ওম প্রকাশ মিশ্রকে নিয়ে ক্ষোভ দলেরই অন্দরে৷
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে ‘বহিরাগত’ মমতা! নিজের কেন্দ্র ছেড়ে পালাচ্ছেন কেন, প্রশ্ন শুভেন্দুর
এদিন কালীঘাট থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় নলহাটিতেই ছিলেন মইনুদ্দিন৷ প্রার্থী তালিকায় নিজের নাম দেখতে না পেয়েই বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন তিনি৷ প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরেই ফেসবুক লাইভ করে জানিয়ে দেন, তিনি আর তৃণমূল কংগ্রেসে থাকছেন না৷ তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কারণ কি? জবাব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এখানে যে বালি মাফিয়া-পাথর মাফিয়াদের রাজ চলে তাকে তিনি সমর্থন করেননি৷ কোটি কোটি টাকা তোলা দিতে পারেননি৷ ঠিক সেই কারণেই তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি৷’’ ফেসবুক লাইভে তিনি এমনই দাবি করেছেন৷
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, এটা একেবারেই দলের সিদ্ধান্ত৷ টিকিট দেওয়ার আগে দলের তরফে প্রতিটি এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে৷ পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, নলহাটিতে মইনুদ্দিন সামসেরের গ্রহণযোগ্যতা কমে গিয়েছে৷ বিচার বিবেচনা করেই নলহাটি কেন্দ্রে প্রার্থী করা হচ্ছে পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র প্রসাদ সিংকে৷ কিন্তু দলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি মইনুদ্দিন সামসের৷ সেইসঙ্গে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, নলহাটি কেন্দ্রেই তিনি লড়াই করবেন৷ তবে কোন দলের হয়ে তিনি লড়াই করবেন তা স্পষ্ট করেননি৷
এদিকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই টুইট করলেন আরাবুল ইসলাম৷ তিনি লেখেন, দলে আজ আমার প্রয়োজন ফুরালো৷ আবার শিলিগুড়িতে ওম প্রকাশ মিশ্রকে প্রার্থী করা নিয়ে দলের অন্দরেই বিদ্রোহ ঘোষণা করা হল৷ এই প্রার্থী নিয়ে কাজ করব না, হুঁশিয়ারি নান্টু পালের৷ ওম প্রকাশ মিশ্র নয় স্থানীয় প্রার্থী চাই, এমনই দাবি উঠল৷ এদিকে টিকিট পেতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন পদ থেকে ইস্তফা দেন মিশ্র৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি বলে আগামীকাল থেকে শিলিগুড়িতেই থাকব৷ বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাবে৷’’
আরও পড়ুন- কঙ্কাল-কাণ্ডের সেই সুশান্ত ফের বাম-প্রার্থী, কলঙ্ক নিয়েই চলবে লড়াই
এদিকে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান নান্টু পালের বক্তব্য, ‘‘এখানে ওম প্রকাশবাবুর নাম নিয়ে আলোচনা হয়নি৷ হঠাৎ করে কেন এই নামটা উঠে এল জানা নেই৷ দীর্ঘদিন যিনি মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধীতা করেছে, তাঁকে কেন প্রার্থী করা হল বুঝতে পারছি না৷ এটা মেনে নিতে পারছি না৷’’
আবার সাতগাছিয়ায় টিকিট না পেয়ে একেবারে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সোনালী গুহ৷ আমডাঙ্গার বিধায়ক রফিকুল রহমান টিকিট না পাওয়া পথ অবরোধ করেন তাঁর সমর্থক তৃণমূল কর্মীরা৷