কলকাতা: স্বনামধন্য ফুটবলারের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন। তবে এই বছর বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পাননি দীপেন্দু বিশ্বাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাতারাতি যোগদান করেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরে। তবে সেখানে গিয়েও খুব একটা লাভ হয়নি কারণ বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট বিজেপির থেকেও পাননি দীপেন্দু। ফলত কয়েক মাসেই মোহভঙ্গ হলে তাঁর। অবশেষে বিজেপিও ছাড়লেন দীপেন্দু বিশ্বাস। ইতিমধ্যেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি শিবিরে যোগদান দিয়ে দীপেন্দু বিশ্বাস আক্রমনাত্মক সুরে বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হয়ে তিনি কাজ করেছিলেন কিন্তু এবারে তাঁকে টিকিট দেওয়া হলো না। মূলত সেই ক্ষোভেই বিজেপি শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো যদি গোলকিপার হন তাহলে তিনিও কিন্তু স্ট্রাইকার! কিন্তু বিজেপিও তার ওপর ভরসা রাখতে পারেনি। অতএব এবার বিজেপি থেকেও নিজের নাম কেটে নিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। তবে এখনো পর্যন্ত এই ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যে কজন বিজেপি শিবিরের নাম লিখিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই হেরে গিয়েছেন নির্বাচনে। সেইসব প্রাক্তন তৃণমূলীদের মধ্যে রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল থেকে শুরু করে অনেকেই।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দিতেই বিদায়ী বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটে৷ উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটে দীপেন্দু বিশ্বাসের একাধিক পোস্টারে কালি লেপে দেওয়া হয়েছিল৷ এই ঘটনায় নাম না করলেই তৃণমূলকে নিশানা করেন তৎকালীন দলত্যাগী এই বিধায়ক৷ তিনি দাবি করে বলেছিলেন, ‘‘এটা এক ধরনের নোংরামি৷ কিছু অ্যান্টি সোশ্যাল এই কাজটা করেছে৷ সাধারণ মানুষ ছি ছি করছে৷ এটা কোনও রাজনীতি নয়৷’’ তবে এখন বিজেপিতে গিয়েও আখেরে কোনও লাভ হল না এই ফুটবলার রাজনীতিবিদের।