কলকাতা: নিজের টূইটার হ্যান্ডেলের ‘কভার ফটো’তে আজকে সকাল পর্যন্তও সুসজ্জিত ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ছবি। কিন্তু রাজ্যসভায় ইস্তফা দেওয়ার পরেই সেই ছবি এখন উধাও। মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর ছবি সেখান থেকে সরিয়ে দিয়ে দীনেশ ত্রিবেদীর দাবি, ‘দল ওঁর হাতে নেই আর’। এতদিন টূইটার হ্যান্ডেলের ‘কভার ফটো’তে দীনেশ ত্রিবেদী রেখেছিলেন তাঁর ও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, এক কোণায় ছিল তৃণমূলের প্রতীক। এদিন দেখা যায় তার বদলে সেখানে রয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের ছবি যার পিছনে জাতীয় পতাকা।
এদিন রাজ্যসভায় ইস্তফা দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, প্রতিটা মানুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে যখন তাকে অন্তরাত্মার কথা শুনতে হয়। এই ধরনের পরিস্থিতি এর আগেও রেল মন্ত্রী থাকাকালীন তৈরি হয়েছিল তাঁর জীবনে। এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আরো বলেন, এই রকম পরিস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয় দেশ আগে না দল আগে, না ব্যক্তি নিজে। দীনেশের কথায়, বাংলায় যে পরিমাণ হিংসা হচ্ছে তা দেখে তার মন ভারাক্রান্ত। দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কোনরকম কাজ করতে না পেরে। সেই কারণেই তিনি আজ রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন সাংসদ হিসেবে। তাঁর কোথায় উঠে আসে স্বামী বিবেকানন্দ থেকে শুরু করে ক্ষুদিরাম বোসের মত ব্যক্তিত্বের নামও।
এদিকে, সংসদ থেকে বেরিয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মন্তব্য করেন, ”কর্পোরেট পেশাদারদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে দল। সেই যাবতীয় কাজকর্ম চালাচ্ছে। এমন একজন দলের নেতা হয়েছে যে রাজনীতির অ-আ-ক-খ জানে না। এই পরিস্থিতিতে কেউ কি করতে পারে?” অন্যদিকে দলবদল করছেন কিনা এই প্রশ্ন তোলা হলে তিনি বলেন, “আমি এখন নিজের সঙ্গে আছি। আমি এখন খুবই স্বস্তিতে। নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনো রকম অনুতাপ নেই”। এই মন্তব্য করে কার্যত দল বদল প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।