নয়াদিল্লি: সংসদের উচ্চকক্ষে ভরা সভায় উঠে দাঁড়িয়ে নিজের পদত্যাগ ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক হেভিওয়েট নেতার দলবদলে কার্যত জেরবার রাজ্যের শাসক শিবির। দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফাতেও জোর ধাক্কা লেগেছে তৃণমূলের অন্দরে। কিন্তু প্রাথমিক ধাক্কার রেশ কাটিয়ে উঠে এবার বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলল ঘাসফুল শিবির।
রাজ্যসভায় দীনেশ ত্রিবেদী বক্তব্য রাখার সুযোগ পেলেন কীভাবে এদিন সেই প্রশ্ন তুলেছেন সংসদের উচ্চকক্ষে তৃণমূলের মুখ্য সচেতক শুখেন্দু শেখর রায়। এ বিষয়ে যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুকে চিঠিও দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁর দাবি, ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখার জন্য দীনেশ ত্রিবেদীর কাছে দলের তরফ থেকে কোনোরকম সুপারিশ ছিল না। তৎসত্ত্বেও কীভাবে এ কাজ তিনি করলেন সেই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি।
এদিন উপরাষ্ট্রপতির কাছে চিঠিতে দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল মুখ্য সচেতক শুখেন্দু শেখর রায়। তিনি লিখেছেন, “গত ১২ ফেব্রুয়ারি দলের সুপারিশ না থাকা সত্ত্বেও কেমন করে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে পারলেন দীনেশ ত্রিবেদী? তাঁর নির্দিষ্ট আসন ছেড়ে উঠে এসে কেমন করেই বা অন্য আসনে দাঁড়িয়ে কথা বললেন তিনি?” এখানেই শেষ নয়, ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মতপ্রকাশ সত্ত্বেও কেন রাজ্যসভার পরিচালক তাঁকে বাঁধা দিলেন না, চিঠিতে সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দু’দিন আগে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে দীনেশ ত্রিবেদীর তৃণমূল ত্যাগের ঘটনায় এখন সরগরম বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এই ধরণের ঘটনা সভার ইতিহাসে নজিরবিহীন বলেই দাবি করেছে ঘাসফুল শিবির। উঠেছে অবিলম্বে যথার্থ তদন্তের দাবি। এদিন দীনেশ ত্রিবেদী রাজ্যসভায় জানান, তৃণমূল কংগ্রেসে থাকতে তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছে। তিনি দলের দুর্নীতি দেখে আর মুখ বুজে থাকতে পারছেন না। তাই ইস্তফা দিয়ে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চান তিনি। এরপরেই গেরুয়া শিবিরে তাঁর যোগদান নিয়ে শুরু হয় জোর জল্পনা।