কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচন এবং তার পরবর্তী দু’ দুটি উপ নির্বাচন৷ ক্রমান্বয়ে ভোট ব্যাঙ্কের অবনতি ঘটেছে গেরুয়া শিবিরের৷ তার ওপর বাড়ছে দলত্যাগীদের সংখ্যা৷ এদিকে দোড়গড়ায় পুর নির্বাচন৷ এহেন পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের মনোবল তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলেই মত শাসক থেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷ যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
দিলীপের কথায়, ‘‘সময়ে দেখা যাবে কর্মীদের মনোবল ভেঙে গিয়েছে নাকি কমে গিয়েছে। পুলিশ নিয়ে যারা ঘুরে বেড়াচ্ছে লোককে ধমকাচ্ছে চমকাচ্ছে তাদের চেয়ে আমাদের লোকেদের মনোবল অনেক উঁচুতে আছে। কারন তারা নিজের জোরে লড়াই করেছে।’’ একই সঙ্গে নিচু তলার কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে খোঁচা দিয়ে দিলীপ বলেছেন, ‘‘ফ্লিমস্টাররা কি আর লোকাল বডিতে লড়ে! তাঁরা বড় বড় ইলেকশনে লড়ে! পার্টির কর্মীরাই পার্টির ইলেকশনে লড়বেন।’’
সদ্য দলত্যাগী হয়েছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়৷ স্বভাবতই, ফ্লিমস্টারদের টিপ্পনি কেটে দিলীপের এমন মন্তব্য বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল৷ কারণ, ভোটের আগে যোগদান মেলায় অভিনেত্রী থেকে নেত্রী অনেককেই দেখা গিয়েছিল দলে যোগ দিতে৷ ধীরে ধীরে পাতলা হচ্ছে সেই ভিড়৷ তারই জেরে দিলীপবাবুর এমন মন্তব্য বলেই মনে করছেন তাঁরা৷ ইতিমধ্যে দলের একাংশই অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন, নির্বাচনের আগে প্রচুর টাকা লেনদেন হয়েছে নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য৷ দিলীপবাবুর অবশ্য সাফ জবাব, ‘‘যারা বলছেন তাদের দায়িত্ব প্রমান দেওয়া। পাবলিকের সামনে কিছু বলে দিলেই হয়ত নিজেকে ভালো করা যায় কিন্তু তাদের উচিত প্রমান দেওয়া। কারন এটা শুধু পার্টির নয় সমাজের পক্ষেও ঠিক নয়।’’ একই সঙ্গে দিলীপবাবু জানান, ‘‘দলের যারা অরিজিনাল কর্মী তাদের নিয়েই পার্টি দাঁড়াবে। এখনও বেশ কিছু জঞ্জাল আছে। জঞ্জাল আসে, জঞ্জাল যায়৷ ক্ষমতার সঙ্গে সবাই থাকতে চায়। ক্ষমতা নাই, তাই অনেকের অসুবিধা হচ্ছে।’’