মালদহ : বালি খাদান ও গরু পাচার নিয়ে রাজ্য সরকারের নিন্দায় সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বালি খাদান, গরু পাচার, কয়লা খাদানের টাকা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস চলছে বলে দাবি করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার মালদহের কোর্ট স্টেশন চত্বরে এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের নিন্দায় সরব হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমার মুখ বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এমনকি কেস দেওয়া হচ্ছে। সভা করতে গেলে কেস দেওয়া হয়। বসিরহাটে আমাদের মিছিলে মহিলা কর্মীদের উপর পুলিশ লাঠি চালিয়েছে। ৪৯ জন জেলে রয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই। পঞ্চায়েতে ৩৪ শতাংশ আসনে কেউ মনোনয়ন দিতে পারেনি। ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে পারল না। ডিসেম্বর মাসে দুটো কর্পোরেশন ও ১৫ টা পুরসভায় ভোট ছিল।ভোট হল না কেন।কারণ এখন যদি নির্বাচন করে তাহলে কেউ টিএমসিকে ভোট দেবে না।’
চিটফাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘নারদ-সারদার টাকা বন্ধ হয়ে গেছে তাই বালি খাদান গরু পাচার কয়লা খাদানের টাকা দিয়ে টিএমসি চলছে। এর প্রতিবাদ করছি। লোকসভা ভোটে পুলিশ দিয়ে ভোট করবেন ভেবেছেন। টিএমসির বন্ধুদের বলে দিচ্ছি । পুলিশ আপনাদের হাতে থাকবে না পাবলিকও আপনাদের হাতে থাকবে না ।এই লোকসভায় টিএমসিকেদেখিয়ে দেব কত ধানে কত চাল।’ দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, দাদাগিরি গুন্ডাগিরি করে ভোট করতে হয়। তার শোধবোধ তুলে নেব আমরা।পুলিশকে দিয়ে পিটিয়ে পঞ্চায়েত ভোট লুঠ করেছিলেন ওনারা । যদি ভেবে থাকেন পঞ্চায়েতে পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে যেভাবে ভোট লুট করেছিলেন। সেই ভোট তারা আবার করতে চাইছে লোকসভায়। আমি বলছি ওটা ভুলে যান। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আমরা বুথে রাখতে দেবো না । পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বুথের কাছাকাছি থাকবে না। দিল্লির প্যারা মিলিটারি ফোর্স আসবে। তারা বসে থাকবে আপনারা যাবেন লাইন দেবেন দাঁড়াবেন তারা ভোটারকার্ড চেক করবেন আপনি ভেতরে যাবেন যাকে ইচ্ছা ভোট দেবেন । হাতে কালি লাগিয়ে বাড়ি চলে যাবেন কেউ বাধা দেবে না। তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন আপনার ভোট আপনি দিবেন আপনার ভোট অন্য কেউ দেওয়ার সাহস পাবে না।সেই সেন্ট্রাল ফোর্সের হাতে লাঠি ও থাকবে পিঠে বন্দুক ও থাকবে।যেটা দরকার সেটা তারা ব্যবহার করবে। আর দিদির ওই গুন্ডা ভাইরা যারা তোলা তুলছেন স্মাগলিং করছেন সিন্ডিকেট রাজ চালাচ্ছেন সন্ধ্যা হলে মহিলাদের হাত ধরে টানছেন কাপড় ধরে টানছে। দিদি বলেন দুষ্টু ছেলে। দিদির ভাইরা এখন সব দুষ্টু হয়ে গেছে।দুষ্টুদের কিভাবে সৃষ্ট করতে হয় তা আমরা জানি । সেন্ট্রাল পুলিশ সেটা করবে।তারা যদি ভোটের দিন ভোট রিগিং করার জন্য বুথে ঢোকার চেষ্টা করে পিঠে রুলের দাগ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। আমি বলে দিচ্ছি কেউ বাঁচতে পারবে না। আমরা ত্রিপুরায় স্টাইলে ভোট করব।” তৃণমূলকে আরশোলার সঙ্গে তুলনা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, আরশোলা চামচিকে যদি পাখি হয়, তাহলে তৃণমূলও একটি পার্টি। কয়েকটা রাজ্যে বিজেপির ফল খারাপ হয়েছে, তাই ওরা লাফালাফি করছে।