কলকাতা: রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর প্রশাসন থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। এই অভিযোগ তুলে ২০২১ সালে রাষ্ট্রপতির শাসনে বিধানসভা নির্বাচন করার দাবি তুলেছিলেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ ঠিক একদিন পরই ইস্যুটি বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সামনে উত্থাপন করার কথা জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগেই দিল্লি পৌঁছবেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি৷ সেখানে দিন পনেরোর মধ্যেই জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করবেন তিনি৷ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি ঘটেছে৷ দীর্ঘ দিন ধরেই আমরা এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছি৷ আমাদের কর্মীদের খুন করা হচ্ছে৷ এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া হতে পারে না৷ এই পরিস্থিতিতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা অসম্ভব৷ হয় রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে হবে, না হলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্বাচন করাতে হবে৷’’
আরও পড়ুন- চতুর্থ আনলকে লকডাউন নয়, কেন্দ্রের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাইল রাজ্য
গতকাল দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে গিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেখানে গিয়ে রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসনে বিধানসভা নির্বাচনের দাবি তোলেন তিনি৷ বিজয়বর্গীয় বলেন, রাজ্যপাল ও নির্বাচন কমিশন ঠিক করবেন পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনে বিধানসভা নির্বাচন হবে কিনা। রাষ্ট্রপতি ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের কাছে পশ্চিমবঙ্গের সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। বাংলায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করেছেন তিনি। রাজ্য বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানান, দুর্নীতির অবসান ও আইন-শৃঙ্খলার দাবিতে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর প্রতিটি জেলার বিডিও অফিসে ধর্মঘট করবে বিজেপি৷
আরও পড়ুন – ‘স্বাস্থ্য সাথী’র সুবিধা প্রত্যাহারের হিড়িক! শিক্ষক বিদ্রোহে সুর চড়াচ্ছে বিজেপির টিচার্স সেল
এদিকে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ২০২১ সালে এটা পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, রাজ্যের প্রতিটি মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন৷ এটা ৩০ শতাংশ মানুষের প্রশ্ন নয়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকবে আপামর রাজ্যবাসী৷