কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসেও বাদ গেল না রাজনীতির প্রসঙ্গ৷ প্রতিদিনের মতো রবিবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। স্বাধীনতা দিবসের সকালে প্রাতঃভ্রমনে আগতদের সাথে সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি৷ ইকোপার্কে ক্রিকেট খেলাতেও মাততে দেখা গেল তাঁকে৷ ব্যাট হাতে যেমন চার ছক্কা মারলেন তেমনি বল হাতে ভেলকি দেখালেন খড়গপুরের সাংসদ। সবার সাথে জাতীয় সঙ্গীতও গাইলেন।
তারপরেই স্বাধীনতা আন্দোলন, বিপ্লবীদের সংগ্রাম, ত্যাগের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে টেনে আনলেন বঙ্গ রাজনীতির প্রসঙ্গ৷ বললেন, ‘‘বাংলায় অরাজকতা চলছে৷ মানুষে মানুষে হিংসার পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে৷ দিদিমণি মুখে ঐক্যের বার্তা দিচ্ছেন। অথচ হিংসা বন্ধ হচ্ছে না৷’’ এরপরই তিনি দাবি করেন, ‘‘আসলে দিদি মুখে বলেন, আমরা কাজে করে দেখায়!’’
অবিযোগ করেছেন, কোভিভ বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে রাতে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। এরপরই স্বগোতক্তির সুরে বলেছেন, ‘‘অবশ্য পশ্চিমবাংলায় কবে কে বিধি নিষেধ মেনেছে। টিএমসির জন্য কোনও বিধি নেই। আমরা যদি রাস্তায় নামি, তখন আইন কানুন ধরে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোনও প্রোগ্রাম করতে দেওয়া হচ্ছে না। সব জিনিস নিয়ে রাজনীতি করার অভ্যাস, বাংলায় সেটাই হচ্ছে।’’
স্বাধীনতা দিবসে মুখ্যমন্ত্রী গান লিখেছেন সুর দিয়েছেন, পোস্ট ও করেছেন। তৃতীয় ফ্রন্ট নয় কংগ্রেসকে নিয়ে জোট করতে চান তৃনমুল। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘ ভাল কথা। ওঁনার (মমতার) গান শুনিনি আমি। গাইলে ভাল হত।’’ দাবি করেছেন, ‘‘এসব কাগজের প্রচারের জন্য করছেন। জোট যাকে নিয়েই হোক, দেশের মানুষ জোট ঘোঁটে যেতে চান না৷ মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। দেশ সুরক্ষিত সম্মান বেড়েছে।। নতুন নতুন ক্ষেত্রে দেশ নতুন নতুন সম্মান অর্জন করেছে, মোদির জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।’’
অভিযোগ করেছেন,‘‘ সজল ঘোষের বাড়িতে যেটা হল তাতে বাংলার সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব আরও একবার সামনে এল৷ যে বিরোধিতা করবে, কথা শুনবে না তাঁকে শেষ করার চেষ্টা করবে। কেউ যদি বিরোধী পার্টি করে তাদের সুস্থভাবে থাকতে দেওয়া হবে না।’’ এরপরই বাংলার ঐক্যের প্রশ্নে মমতাকে বিঁধেছেন দিলীপ৷