কলকাতা: ২০০৮ সালে দিল্লিতে বাটলা হাউস এনকাউন্টার – সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমাটি হয়ত আপনারা অনেকেই দেখেছেন। জন আব্রাহাম অভিনীত ওই সিনেমাটি বলিউডে আলোড়ন ফেলেছিল।
এবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের অন্যতম বিষয়বস্তু হতে পারে এই ঘটনা। পরিপ্রেক্ষিত, ওই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি, কংগ্রেস, বাম এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাটলা হাউসের ঘটনাটিকে জাতীয় ইস্যুতে পরিণত করেছিলেন। এর অর্থ কী? ভোটের জন্য কি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইকে দুর্বল হয়ে যাবে?”
দিল্লির একটি আদালত এদিন অভিযুক্ত আরিজ খান এবং সহযোগীদের পুলিশ খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এই রায় আসার পরই বিজেপি নেতা এই বক্তব্য রেখেছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। টুইটারে তিনি বলেছেন, “২০০৮ সালে, বাটলা হাউস এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন করার সময়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন – এটি একটি ভুয়া এনকাউন্টার ছিল, যদি আমি ভুল প্রমাণিত হয়ে সক্রিয় রাজনীতি ছেড়ে দেব।”
দিলীপের বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাহলে রাজনীতি ছাড়তে চলেছেন, টিএমসি পার্টিতে একটি ‘পোস্ট’ (সুপ্রেমো) ফাঁকা হবে! বাকি ‘ল্যাম্পপোস্টগুলি’ কী হবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চয়ই বিস্মিত যে আদালত আরিজ খানকে বাটলা হাউস এনকাউন্টার মামলায় দিল্লির পুলিশ পরিদর্শক মোহন শর্মা হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে।”
সোমবার দিল্লির একটি আদালত ২০০৮ সালের বাটলা হাউস এনকাউন্টার মামলায়, ফেব্রুয়ারী ২০১৮ সালে গ্রেপ্তার হওয়া আরিজ খানকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। আদালত বলেছে যে আরিজ খান ও অন্যান্যরা ইন্সপেক্টর মোহন চাঁদ শর্মা নামক এক এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করেছিলেন এবং হেড কনস্টেবল বলবন্ত সিং এবং রাজবীর সিংকে আঘাত করেছিলেন। আরিজ খান সন্ত্রাসী সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এক দশক পলাতক থাকার পরে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল তাকে গ্রেপ্তার করেছিল।