কলকাতা: সোমবারই বেসুরোদের নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন বিজেপির বিদ্রোহী সাংসদ শান্তনু ঠাকুর৷ এবার সেই প্রসঙ্গে খোঁচা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ দিলীপের কথায়, ‘‘দলে কিছু লোক সবসময় বিক্ষুব্ধ থাকে। মে মাসের পর থেকে সবার মন খারাপ। তবে সময়ের সঙ্গে এটাও কেটে যাবে।’’
পিকনিকের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘বিজেপি মানেই নিরামিষ না। এর আগেই পার্টি অফিসে বিরিয়ানি পর্যন্ত খাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা প্রায় সবাই নিরামিষ খান। তাই নিরামিষ করা হতো। তাই বিক্ষুব্ধদের মিটিং বা পিকনিকে নিরামিষ নতুন কিছু না।’’ মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর নিয়েও৷ দিলীপের কথায়, ‘‘অখিলেশ বা মুলায়ম আগেও মমতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মমতা উত্তর প্রদেশে গিয়ে ওদের কি সাহায্য করবেন? এই মিটিং ২০১৯ এও হয়েছিল। লাভ কিছু হয়নি৷ আর অভিষেক গোয়া যাচ্ছেন। মাঝে মাঝে যাওয়া ভাল। চেঞ্জ হয় মানুষের।’’
সোমবারই ফেসবুক লাইভ থেকে তৃণমূল নেত্রীকে গান্ধীজির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র৷ সেই প্রসঙ্গে দিলীপের খোঁচা, ‘‘উনি (মদন মিত্র) বোধহয় চার্জ শিট খাওয়ার মুখে আছেন। তাই ওদের নেত্রীর স্তুতি করছেন।’’ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘অভিষেকের ডায়মণ্ড মডেল কলকাতায় প্রয়োগ হচ্ছে না কেন? এখানে করোনা বেশী। এখানে প্রয়োগ করুন।’’ অভিযোগ করেছেন, ‘‘সব খুলে দেওয়া হচ্ছে। কারণ ভোট করতে হবে। করোনা নিয়ে এই সরকারের পদক্ষেপ দিশাহীন। সর্বভারতীয় স্তরে চাপ আসছে। তাই একবার করে বন্ধ হচ্ছে। একবার করে খুলে দেওয়া হচ্ছে।’’