সমাজ বিরোধীরা কাদের আশ্রয়ে রয়েছে? জানিয়ে দিলেন দিলীপ

সমাজ বিরোধীরা কাদের আশ্রয়ে রয়েছে? জানিয়ে দিলেন দিলীপ

ddaa582dbbdba466bb3d3258df3cb433

কলকাতা: খালি কলকাতায় নয় সারা পশ্চিমবাংলায় দেখুন না। আর কাউকে গ্রেফতার করে না। কারন সবাই পার্টির লোক। যত অ্যান্টি সোশ্যাল সব টিএমসির সেল্টারে রয়েছে৷ টিএমসির ঝান্ডা নিয়ে। টিএমসির পদও পেয়ে গিয়েছে তারা। নেতা হয়ে গিয়েছে। ওরাই আজকে পুরো সমাজকে ব্যস্ত করে রেখেছে। – রাতের কলকাতায় এক ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গে এভাবেই নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷

নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে একই সঙ্গে একহাত নিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলেরও৷ দাবি করেছেন, ‘‘ বীরভূমের জেলা সভাপতি বলেছেন, চোর দুদিনের মধ্যে না ধরে দিলে এই করে দেব। উনিই ক্রিমিনালকে লুকিয়ে রেখেছেন, আবার উনিই পুলিশকে ধমকাচ্ছেন। ওদের বাড়ি আগে সার্চ করা হোক। পুলিশ তো চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে। বোম, বন্দুক, গুলি তো রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। মেদিনীপুরে দেখেছেন একটা রেস্টুরেন্টের মালিকের টেবিলে তিনটে বন্দুক রেখেছে। কার হিম্মত আছে? এই করে টাকা তোলা হচ্ছে৷ এই করে দাদাগিরি করা হচ্ছে৷ এই করে জমি দখল করা হচ্ছে৷ পুকুর বোজানো হচ্ছে৷ কারও বলার হিম্মত নেই৷ আর আজ এরা কাউন্সিলর এমএলএ হয়ে গিয়েছে।’’

কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও৷ আজ ফের সিবিআই ডেকেছে পার্থবাবুকে৷ সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘‘যান চা খেয়ে আসুন গিয়ে। সিবিআইয়ের চা কেমন গরম দেখুন।’’ সম্প্রতি ভবানীপুর উপ নির্বাচন নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্টে দিলীপ ঘোষ উল্লেখ করেছেন, ‘‘এবার উলাটপুরণ ঘটতে পারে! আবার নন্দীগ্রামের পরিণতি হতে পারে ভবানীপুরে৷’’ এদিন সেই রেশ বজায় রেখেই মমতার নাম না করে দিলীপের আক্রমণ, ‘‘ইতিহাস ঘুরে ফিরে আসে। যারা ইতিহাস ভুলে যায়, তারা অহংকারের সঙ্গে অনেক কথা বলে। একটা সময় বলা হত দিলীপ ঘোষটা কে? এখন বলা হয়, তিনি আমার বন্ধু। এটাই ইতিহাস। সবাই আমার বন্ধু, এতে আপত্তি নেই। কিন্তু ক্ষমতায় থাকলে সবাইকে ইগনোর করার অধিকার কে দিয়েছে?’’

মা উড়ালপুলের ছবি যোগী রাজ্যের উন্নয়নে লাগানোকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গেও দিলীপের ব্যাখ্যা, ‘‘ওটা কেন। উল্টোডাঙার ফ্লাইওভার, যেটা ভেঙে পড়ল বড় বাজারে৷ সবই তো বাম আমলে শুরু হয়েছে৷ কেন্দ্রের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে। আজকে ওনারা পরের দানে পোদ্দারি করে বেড়াচ্ছেন৷ ফোটানি মারছেন৷ একটা কাজ করুন, করে দেখান, যেটা নিজেরা করেছেন। বরঞ্চ যা করেছেন সব ভেঙে পড়ছে৷ ব্রিজ ফ্লাইওভার সব ভেঙে পড়ে,ছে কিছুই বাকি নেই। কাঁকদ্বীপে তৈরি ব্রীজ ভেঙে পড়েছে।’’ বলেছেন, ‘‘আগে তো সামান্য কিছু করুন, কষ্ট পাওয়ার কি আছে। আজকে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন অ্যাড বিভিন্ন জায়গায় দেয়। বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন অ্যাড তাদেরকে দেয়৷ তারা ছবি লাগিয়ে সেগুলো করেছে। তারা স্বীকারও করেছে ভুল হয়ে গিয়েছে। তারা অস্বীকারও করেনি যে ওটা কলকাতার ছবি নয়, স্বীকার করেছে কলকাতারই ছবি দিয়েছে। তাতে ওনারা কষ্ট পাচ্ছেন কেন। ওনাদের সবই তো ধার করা খালি নামগুলো শুধু পাল্টে দিচ্ছেন৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *