কলকাতা: ফের বিস্ফোরক বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ গিয়েছিল তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য। যা নিয়ে ফের শরব হয়েছেন দিলীপবাবু৷
বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, ‘‘কিচ্ছু বলার কিছু নেই। এই সরকার যেধরনের স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে কাজ করছে, কারও কথা শুনতে রাজি নন।’’ এরপরই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘একই আন্দোলন বিশ্ব ভারতীতে হলে এই সরকার সাপোর্ট করছে। টিচার্স, কর্মচারী আর পুলিশের লোকেরা যদি আন্দোলন করে নিজের অধিকারের জন্য তখন তাঁদের ট্রান্সফার করা হচ্ছে৷ ভয় দেখানো হচ্ছে। পুলিশ দিয়ে তুলে আনা হচ্ছে।’’
দাবি করেছেন, ‘‘মিডিয়ার লোকেরা যদি সরকারের সমালোচনা করে তাহলে রাত একটার সময় তাকে তুলে আনা হচ্ছে৷ ভয় দেখানো হচ্ছে৷ যাতে কেউ সমালোচনা না করে। যা ইচ্ছা করতে পারেন। সরকার মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনের উপর কোনো কন্ট্রোল নেই। পুলিশ প্রশাসন আইন শৃঙ্খলা রক্ষা না করে পার্টির সেবা করতে গিয়ে পুরো সমাজের চোর, ডাকাত, গুন্ডা, বদমাশ, টেরোরিস্টদের দাদাগিরি চলছে।’’
একই সঙ্গে শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘‘প্রতিবাদ করলে পুলিশের ডান্ডা চলছে। টিচার্সদেরকে যেভাবে ট্রান্সফার করা হয়েছে তারা কষ্টের মধ্যে আছেন৷ তাঁরা প্রতিবাদ করতে এসেছেন৷ বিষ খেয়েছেন৷ বাংলায় এর চেয়ে দুরাবস্থা আর কি হবে? এখন যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদেরকে টাইট দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’ সরব হয়েছেন এবআরএসে হোমগার্ডকে বিজেপি নেতা দেবদত্তা মাঝির হোমগার্ড কে চড় মারা কাণ্ড নিয়েও৷
বলেছেন, ‘‘এটা তো স্বাভাবিক আছে। আমাদেরকে সুযোগ পেলে একটা কেস দিয়ে দেয়। হাসপাতালে আমাদের লোককে ঢুকতেই দিচ্ছে না৷ আমরা ডেড বডি আনতে যাচ্ছি এর চেয়ে বড় অপরাধ কি হবে। পুলিশের বিরুদ্ধে এর জন্য সুয়ো মোটো কেস হওয়া উচিত। দেবদত্তা মাঝি যদি কিছু করে থাকে সে কেন করেছে এটা বিচার করা উচিত। যারা একজন মৃত কর্মীর চার মাস পর ডেড বডি আনতে গিয়েছে তাদের সঙ্গে পুলিশ খারাপ ব্যবহার করছে, তুই তুকারী করে কথা বলছে, তিনি চৌরঙ্গী কেন্দ্রে আমাদের ক্যান্ডিডেট ছিলেন। তিনি প্রতিবাদ করেছেন৷ ঠিক করেছেন।’’