ব্যক্তিগতভাবে অনেকের অভিভাবক ছিলেন, সুব্রত স্মৃতিচারণায় দিলীপ

ব্যক্তিগতভাবে অনেকের অভিভাবক ছিলেন, সুব্রত স্মৃতিচারণায় দিলীপ

কলকাতা: এ এক অন্য দিলীপ৷ দিলীপ ঘোষ৷ নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাত:ভ্রমণে এসে আদ্যন্ত রাজ্যকে গালমন্দ করা যিনি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন, বিজেপির সেই কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে শুক্রবার দেখা গেল শোকাহত মেজাজে৷

চিকিৎসার যাবতীয় চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দীপাবলীর রাত ৯টা ২২ মিনিটে ওপারের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিক সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ শুক্রবারের সকালে প্রাতঃভ্রমণে এসে সেই প্রয়াত মন্ত্রীর স্মৃতিচারণায় রীতিমতো আবেগ তাড়িত দেখা গেল দুঁদে রাজনীতিককে৷ বললেন, ‘‘সুব্রতবাবু বাংলার রাজনীতির অন্যতম আইকন ছিলেন। তাঁর হয়তো ৭৫ বছর বয়স হয়েছিল তবু মনে হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলেন। ৫০/৬০ বছর ধরে রাজনীতি জীবনে এক্টিভ থেকেছেন৷ সামাজিক জীবনে সবার সঙ্গে তার স্বাভাবিক সম্পর্ক৷ পার্টি বা বয়স কোনো কিছু উনি ভাবতেন না৷ ব্যক্তিগত ভাবে অনেকের অভিভাবক ছিলেন।’’

আক্ষেপ করেছেন, ‘‘রাজনীতির ক্ষেত্রে তাদের মত মানুষদের চলে যাওয়াটা মূল্যবোধ ও পরম্পরার যে রাজনীতি, সেটায় একটা বড় গ্যাপ করে দিল৷ বেশ কিছু নেতাকে আমরা ইদানিং হারিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বড়ো একটা গ্যাপ তৈরি হচ্ছে। উনি যে পার্টির নেতা ছিলেন সে পার্টির যেমন ক্ষতি নিঃসন্দেহে বাংলার রাজনীতির বড় ক্ষতি হল।’’

বলেছেন, ‘‘বিধানসভায় যাওয়ার পর ওনার সামনা সামনি হয়েছি ২০১৬ সাল থেকে৷ তিন বছর ছিলাম। অনেকবার দেখা হয়েছে৷ বিএ কমিটিতে বসে এক সাথে খাওয়া দাওয়া হত। এত বছর বয়সেও উনি মিষ্টি খেতেন খুব। বিধানসভার মধ্যে বেঞ্চে বসে অনেক্ষন আলোচনা হয়েছে৷ উনি যে ধরণের মজার মজার কথা বলতেন, স্টেট ফরোয়ার্ড বলতেন এটা যেমন আনন্দদায়ক ছিল, মজার ও ছিল, সেরকম শিক্ষার ও ব্যাপার ছিল। নিঃসন্দেহে এরকম ব্যক্তি চলে যাওয়া রাজনীতিতে বড় একটা গ্যাপ তৈরি হল।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 3 =