কলকাতা: ইতিমধ্যে দলের আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপির এরাজ্যের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যপাল তথাগত রায়৷ যদিও বিষয়টিকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ দিলীপ ঘোষ৷ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির দাবি, ‘‘মুখে কেউ অভিযোগ তুললে হবে না। বিভিন্ন অর্থে বিভিন্ন স্বার্থে লোকে এসব করে থাকে। এর কোনও প্রমাণ লাগে না। রাস্তায় অনেক ভিডিও চলে অনেক লোক অনেক কিছু বলে। পার্টির তারমধ্যে কোনো দায় নেই।’’
একই সঙ্গে এবিষয়ে তৃণমূল নেতাদের মাতামাতি নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন দিলীপ৷ তাঁর কথায়, ‘‘ওরা (তৃণমূল) আবার কথা বলে কি করে? যারা জেল খেটে এসেছে, যাদের নামে কেস চলছে। সেটা তো আর প্রমান করতে হবে না। দিনের পর দিন তারা জেল খেটে তারা বড় বড় কথা বলছে।আমি বলেছিলাম, ত্রিপুরাতে চোর ডাকাতরা গেছে৷ বাংলা থেকে যে যে নেতারা গেছে তারা কারা। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কেস করিনি। টিএমসির সরকার তার লোকেরাই কেস করেছে। যত দাগী নেতাদের ওখানে পাঠিয়েছে লাইন দিয়ে ওখানে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের একাধিক কেস দুর্নীতির কেস, হিংসার কেস সব আছে। পুরো পার্টিটা আজ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। ওরা লোককে কি প্রশ্ন করবে।’’
রবিবারই হাওড়ার এক সভা থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি এলাকায় ঢুকতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই প্রসঙ্গে টেনে দিলীপের কটাক্ষ, ‘‘ওই পার্টিটাই ওইরমক। সেখানে নিজস্ব সবার ব্যবসা চলে। কেউ কাউকে জায়গা ছাড়তে চায় না। তার জন্য দেখছেন না গুলি বন্দুক পুলিশকে মন্ত্রীকে মেরে ফেলে দিচ্ছে এটাই টিএমসির কালচার। পশ্চিমবাংলার রন্ধে রন্ধে দুর্নীতি ও হিংসা ঢুকিয়ে দিয়েছে ওরা।’’ তবে নন্দীগ্রাম মামলার রায় নিয়ে সাবধানী মন্তব্য শোনা গিয়েছে দিলীপবাবুর মুখে৷ বলেছেন, ‘‘কোর্ট কাছাড়িতে যে কেউ যেতে পারে। কোর্ট যেমন নির্দেশ দেবে সেটা মানতে হবে।’’