কলকাতা: উপনির্বাচনের ফল ৪-০৷ ৩ কেন্দ্রে জামানাত জব্দ হয়েছে বিজেপি’র৷ জোড় ধাক্কা খেয়েও আক্রমণাত্মক দিলীপ ঘোষ৷ বাংলার নির্বাচনকে চিনের সঙ্গে তুলনা করলেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি৷ তোপ দেগে তিনি বলেন, “বাংলার অবস্থাও চিনের মতো হয়ে যাবে। এক পার্টি গণতন্ত্র থাকবে বাংলায়। বাকিরা কেউ নির্বাচনে লড়তে পারবে না।”
আরও পড়ুন- বাজি পোড়ানোর অনুমতি সুপ্রিম কোর্টের, ভেঙে পড়েছেন পরিবেশ কর্মী রোশনি আলি
প্রতিদিনের মতো বুধবারও নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তাঁকে উপনির্বাচনের বিজেপি’র বিপর্যয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি হারের ব্যাখ্যা দেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, “নির্বাচনের সময় আলাদা কূটনীতি কাজ করে৷ নির্বাচনের পর স্বাভাবিক রাজনীতি হয়।’’ তিনি আরও বলেন, “কর্মীরা পার্টির আদর্শের জন্য কাজ করে। উপনির্বাচনে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না৷ এটা ব্যতিক্রম। সব জায়গাতেই এই ছবি৷ কে কবে উপনির্বাচন জিতেছে। জিততে দেওয়াই হবে না৷ নির্বাচন করতে দেওয়া হচ্ছে না, প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের প্রার্থীকে ভোটটাও দিতে দেওয়া হচ্ছে না। বাধা দেওয়া হয়েছে।” বাংলার পরিস্থিতি তাঁর কাছে চিনের মতো৷
পাশাপাশি উপনির্বাচনে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে পুর ভোটে লড়ার কথা বললেন দিলীপ ঘোষ৷ তাঁর অভিযোগ, গত পুরভোটে সন্ত্রাস হয়েছে৷ বিধাননগর পুরভোটেও লুট হয়েছে৷ তিনি বলেন, আমরা নিশ্চই প্রার্থী দেব৷ কী পরিস্থিতি হবে তা তো জানা যাচ্ছে না৷ ভারতীয় জনতা পার্টি পুরোপুরি শক্তি দিয়ে নির্বাচন লড়ার প্রস্তপতি নিচ্ছে৷ গত বার সকাল ৬টার মধ্যে বিধাননগরে পুর ভোট শেষ হয়ে গিয়েছিল৷ ভোট লুট হয়েছিল৷ সাংবাদিকদের মারা হয়েছিল৷ ক্যামেরা ভাঙা হয়েছিল৷ কলকাতা পুরভোটেও একই পরিস্থিতি হয়েছে৷ তারকেশ্বর, আরামবাগে কাউকে ভোটই দিতে দেওয়া হয়নি৷ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোট হয়েছে৷ পঞ্চায়েত ভোটেও তাই হয়েছে৷ এর মধ্যেই আমাদের লড়তে হবে৷’