কলকাতা: রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প নিয়ে বারবার আক্রমণ করেছে বিজেপি শিবির। এমনও অভিযোগ তোলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের নাম বদল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে চালাচ্ছেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ম একাধিক প্রশ্ন তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। দুয়ারে সরকার প্রকল্প এবং স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে এখনো পর্যন্ত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তবে হঠাৎ বিজেপি সংসদ তথা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায় অন্য সুর। তিনি অবলীলায় বললেন, সুযোগ পেলে তিনিও স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড করাবেন, তিনি মোটেই স্বাস্থ্য সাথীর বিরোধী নন! বিজেপি রাজ্য সভাপতি এই মন্তব্যে এখন শোরগোল।
দিলীপের কথায়, স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে তার কোনো সমস্যা নেই কিন্তু প্রতারণা নিয়ে রয়েছে। কার্ড পাওয়া গেলেও যদি সুযোগ না পাওয়া যায় তাহলে সেই কার্ড নিয়ে কি লাভ, প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সুযোগ পেলে তিনিও স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড করাবেন। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই দিলীপ ঘোষের পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড তুলতে দেখা যায়! সেই ছবিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। মূলত তার পর থেকেই জল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এখন তার এই প্রসঙ্গে প্রত্যক্ষ মন্তব্য আরো বেশি গুঞ্জন বাড়িয়ে দিল বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের আদি বাড়ি ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা গ্রামে। সেখানেই থাকেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিছুদিন আগেই কুলিয়ানা এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবিতে তাঁর পরিবারের সদস্যদের দেখা যায়। দেখা যায় তাঁর ভাই হীরক ঘোষের স্ত্রী-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজনকে। উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষের ভাই হীরক ঘোষ গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। তাঁর খুড়তুতো ভাই সুকেশ ঘোষ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি। এর আগে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় দিলীপ ঘোষ নিজেই প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, মমতা এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাওয়ার যোগ্য কিনা।