বোলপুর: দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠল রাজ্য রাজনীতিতে। তাঁর দাবি নির্বাচন কমিশন এলে তাঁরা দেখিয়ে দেবে কীভাবে তৃণমূল রাজনীতি করতে পারে। পুলিশকে তৃণমূলের ক্যাডার বলে উল্লেখ করে এ প্রসঙ্গ তিনি টানেন। তবে কী নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে রাজ্যে নিজেদের শক্তিশালী করতে চাইছে বিজেপি? তবে কী নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে শাসকদলকে হুমকি দিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা করার চেষ্টা চালানো হতে পারে? প্রশ্নের ঝড় বইছে রাজনৈতিক মহলে।
দলীয় কর্মসূচির আওতায় বীরভূমের বোলপুরে যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে চায়ের আড্ডায় উঠে এল সাম্প্রতিক রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতির বেশ কিছু ইস্যু। তবে স্বভাবসিেদ্ধ ভঙ্গীতে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করে ছাড়লেন বিরোধী দলের এই নেতা। জিএসটির টাকা চাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে এদিন রাজ্যকে কড়াভাষায় ব্যঙ্গ করেন দিলীপ। তিনি বলেন সবসময় ভিখারীর মত টাকা চায় রাজ্য সরকার। এদের মনটাই ভিখারীর মত।
তবে ভাষা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনওদিনই শালীনতার সীমা মানেননি গেরুয়া ব্রিগেডের এই চরমপন্থী নেতা৷ তাই এ ভাষায় কোনও রাজ্য সরকার তথা দলকে সম্বোধন করা যায় কিনা তার ধার ধারেননি দিলীপবাবু। কেন্দ্রের বিরোধিতা করা নিয়ে তৃণমূলকে এদিন একহাত নেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।
জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্যের বিরোধিতা প্রসঙ্গে তাঁর দাবি না বুঝে সবকিছু বিরোধিতা করা হচ্ছে। তিনি কড়াভাষায় বলেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝতে পারছেন কোন ডাকাতদের তারা ক্ষমতায় এনেছেন।
বরং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এদিন তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন রাজ্যজুড়ে হিংসা চলছে। বিজেপি নেতা কর্মীদের মারা হচ্ছে, মহিলাকে গুলি করা হচ্ছে, বিধায়ককে মেরে টাঙিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে সাম্প্রতিক যাবতীয় হিংসার ঘটনায় তিনি তৃণমূলের যোগের দিকে ইঙ্গিত করেন।
মণিরুল ইসলাম প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি মণিরুলকে ভয় পাচ্ছে শাসকদল, তাই একের পর এক মামলায় জড়িয়ে তাঁকে বীরভূমে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিন বোলপুর শহরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে চায় পে চর্চা কর্মসূচি নিয়েছিলেন দিলীপবাবু।
শহরের জামবুনি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চায়ের দোকানে তার কর্মসূচি ছিল। সেখানে গিয়ে দেখেন সংশ্লিষ্ট চায়ের দোকান টি বন্ধ। কর্মীদের হাতে তৈরি চা খেয়ে কর্মসূচি করতে হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। এ নিয়েও তাঁর অভিযোগ যেখানেই তিনি যান সেখানেই চায়ের দোকান এমনকি বাজার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।