কলকাতা: আমরা জনগণকেই ভগবান মনে করি, রাজনীতিতে। যার জনগণের ওপর থেকে ভরসা চলে যায়, সে তখন বেশি করে ভগবানের দিকে দৌড়ায়। নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে জল্পনা৷
কাকে উদ্দেশ্য করে একথা বললেন, তা সরাসরি মুখে বলেননি৷ তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর দিকে৷ প্রসঙ্গত, রবিবার ভবানীপুরের ফলাফল সামনে এসেছে৷ সোমের বিকেলে মন্দির থেকে গুরুদ্বারে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তারপরই দিলীপবাবুর এহেন বক্তব্য যে তাঁকে কটাক্ষ করেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা৷ এখানেই প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি নিজেই তো জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয়৷ এটা কি ধর্মের কথা নয়৷ দিলীপবাবুর অব্য দাবি, ‘‘বিজেপির তরফ থেকে গতবারও হয়নি৷ এবারও কোনও দুর্গা পুজো হবে না।’’
দিলীপবাবুর অভিযোগ, দুমাস ধরে বন্যা চলছিল৷ এখন আবার আগুন চলে এল। পশ্চিম বাংলার বন্যাও একশো বছরের পুরনো৷ তার কোনও সমাধান করার ইচ্ছা নেই কারও। বৃষ্টি হলেই বন্যা শুরু হয়ে যায়। কলকাতার মধ্যে আগুন লাগাটাও নতুন কিছু না। ত্রিশ চল্লিশ বছর ধরে দেখুন বিভিন্ন বস্তি বিভিন্ন বাজার পুড়ছে৷ সেখানে হাইরাইজ উঠে গিয়েছে৷ হতে পারে এর পিছনে চক্রান্ত আছে। অগ্নি নির্বাপন এই যে ব্যবস্থা সরকারি যে মান্যতা সেটাও মানা হয় না। আর সেটার কোনও চেকিংও হয় না। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। তা না করে এরা টেম্পারারি করে চালিয়ে দেওয়ার তালে আছে৷ সেই জন্য এইধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,উত্তর প্রদেশে রাম রাজত্ব নয় খুনের রাজত্ব চলছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘এখানে পাড়ায় পাড়ায় খুন হচ্ছে। তার পার্টির লোকেরা পার্টির লোককে মারছে। বোম বন্দুকের কারখানা হচ্ছে। উনি আবার ত্রিপুরা বা উত্তরপ্রদেশ নিয়ে কি বলেন, নিজেরটা সামলান আগে।’’ প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার ত্রিপুরা থেকে এক বিজেপি বিধায়ক আসবেন। কালীঘাটে গিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করে তৃনমুলে যোগ দেবেন বলে রাজনৈতিক মহলে খবর৷ যদিও দিলীপের দাবি, ‘‘ভাল কথা, ওঁনাকে বলব গিয়ে দেখুন। দূর থেকে সব ভাল লাগে।’’