“পঞ্চায়েত সদস্যদের বাড়ি দেখলে বুঝবেন উন্নয়ন কাকে বলে”, তৃণমূলকে খোঁচা দিলীপের

কলকাতা: মালদার মানিকচকে সভা করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি সভা থেকে রাজ্য সরকারকে 'দুয়ারে দুয়ারে সরকার' প্রজেক্ট, আমফান দুর্নীতি সহ নানা বিষয় নিয়ে বিঁধেছেন। 

কলকাতা: মালদার মানিকচকে সভা করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি সভা থেকে রাজ্য সরকারকে ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ প্রজেক্ট, আমফান দুর্নীতি সহ নানা বিষয় নিয়ে বিঁধেছেন। 

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাস্তায় নাকি উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। এখানে তো উন্নয়ন শুয়ে পড়েছে রাস্তায়। যমেও আসবে না এখানে। একটা সুবিধা আছে। যম এখানে আসার সাহস করবে না। করোনা হয়ে গেল, কেউ মারা যায়নি। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যদের বাড়ি দেখলে বুঝতে পারবেন উন্নয়ন কাকে বলে। এখন আর উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে নেই। বাড়ি বাড়ি চলে এসেছেন। দুয়ারে দুয়ারে। দুয়ারে দুয়ারে সরকার, দুয়ারে দুয়ারে উন্নয়ন। যারা কেন্দ্র সরকারের পাঠানো চাল লুট করে নিল, কেন্দ্র সরকারারে পাঠানে আমফানের টাকা লুট করে নিল। রাস্তা তৈরি, স্কুল তৈরির টাকা লুট করে নিয়েও ক্ষান্ত হয়নি। বাড়ি থেকেও লুটপাট করতে আসছে। সাবধান থাকবেন। দুয়ারে দুয়ারে সরকার যাওয়ার কি আছে? লোক আর সরকারের কাছে যাচ্ছে না। তাই যমের দুয়ারে সরকার যাচ্ছে এখন। প্রায় যমের দুয়ারে চলে এসেছে তখন মনে পড়েছে। লোকের দুয়ারে যাওয়ার চেষ্টা করছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই উন্নয়নের যারা প্রতিনিধি, রাস্তায় বেরোলে মা-বোনদের হাত ধরে টানে। বিজেপি কর্মীদের খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেয়। গরীব মানুষের রেশনের চাল খেয়ে নেয়। কিছুই বাকি নেই। উন্নয়নের টাকা লুট করছে।। এই উন্নয়ন মানুষ চায় না। একুশ সালে উন্নয়নের বিদায় হবে। তার ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। দিদিমণির ঘুম ছুটে গিয়েছে। ডিসেম্বর মাসে ঘেমে ঘেমে দৌড়চ্ছেন। আজ উত্তরবঙ্গে এসেছেন। ভাষণ দিয়েছেন। বলছেন চা শ্রমিকদের ভাগ্য পালটে দেবেন। উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন করে দেবেন। ১০ বছর কে করতে না বলেছিল আপনাদের উন্নয়ন? উত্তরবঙ্গের মানুষ অপেক্ষা করেছেন। তারপর পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিদিমণিকে জবাব। এখানে মাত্র চারটে পঞ্চায়েত আমরা জিততে পেরেছি। বাকি সবটাই জিততাম আমরা। কিন্তু দিদির উন্নয়ন ভাইরা মারপিঠ করে জোর করে আমাদের জেতা আসন অন্যের নামে ছিনিয়ে নিয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − 11 =