গুন্ডাদের সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক! পুলিশ প্রসঙ্গে ফের বিতর্কিত মন্তব্য দিলীপের

গুন্ডাদের সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক! পুলিশ প্রসঙ্গে ফের বিতর্কিত মন্তব্য দিলীপের

642a0eaf08438850ab2910a597f29c95

কলকাতা: বিতর্ক থেকে হয়তো বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বেশিদিন দূরে থাকতে পারেন না। অন্তত সাম্প্রতিক সময়ের বেশকিছু ঘটনা তার ইঙ্গিত দিচ্ছে স্পষ্টভাবে। একাধিকবার বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন তিনি। সম্প্রতি শীতলকুচি ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা সহ্য করেছেন। এবার পুলিশকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ভোট উত্তাপ ছড়ালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। মন্তব্য করলেন, পুলিশের সঙ্গে গুন্ডাদের সম্পর্ক অনেক পুরনো! প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই পুলিশের উদ্দেশ্যে আরো বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, সারাজীবন তাদের পায়ের তলাতেই থাকতে হবে পুলিশকে।

ভোট-পরবর্তী হিংসার প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরিচালনা করার দায়িত্বে থাকে রাজ্য পুলিশ তাই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা তাদের কাজ। কিন্তু যেখানে পুলিশের এক্তিয়ার বেশি সেখানেই গন্ডগোল হচ্ছে কারণ পুলিশের সঙ্গে গুন্ডাদের সম্পর্ক রয়েছে, তাই জন্য তারা কিছু বলতে পারে না। এর আগে গুন্ডা দিযে লোককে ভয় দেখানো হবে বলেও দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। আর বর্তমান নির্বাচনের প্রেক্ষিতে তাঁর অভিমত, পুলিশের কারণেই একাধিক জায়গায় অশান্তি হচ্ছে। এর পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, পাঁচ দফায় যে ভোট হয়েছে তাতে কমপক্ষে ১২৫ আসন পাবে বিজেপি। সব মিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে তারা জিতবে ২০০-র বেশি আসন পেয়ে। 

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পুলিশ নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য ছিল, পুলিশ এখন সাহস দেখিয়ে সর্বভারতীয় দলের কর্মীদের ধমকাচ্ছে। কিন্তু তাদের তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিজেপির নেতা এবং কর্মীদের ধমকাতে যাবেন না কেউ। কারণ ক্ষমতায় আসার পর বাকি জীবন বিজেপি নেতাদের পায়ের তলায় থেকেই চাকরি করতে হবে পুলিশকে! দিলীপ সাফ জানিয়েছেন, এসব ধমকানো এবং চমকানোর দুঃসাহস যেন কেউ না দেখায়। সম্প্রতি শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, দুষ্টু ছেলেরা এবার বুঝতে পেরেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দুকের গুলিতে কতটা জোর। এবার থেকে বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *