‘১৯-এ হাফ আর ২১-এ সাফ’, সাংবাদিক বৈঠকে হুংকার দিলীপের

‘১৯-এ হাফ আর ২১-এ সাফ’, সাংবাদিক বৈঠকে হুংকার দিলীপের

কলকাতা: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ভুল মূর্তিতে মাল্যদান থেকে বিভিষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন নিয়ে শাসক দলের কটাক্ষের জবাব দিতে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেলন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ প্রতিটি আক্রমণের পাল্টা জবাব দিলেন তিনি৷ দিলেন ২১-এ রাজ্য থেকে তৃণমূলকে ‘সাফ’ করার হুঁশিয়ারি৷ অন্যদিকে, তাঁর নামে অপপ্রচারের অভিযোগ আনলেন তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে৷ এমনকী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিলেন তিনি৷  

আরও পড়ুন- হাইকোর্টের অর্ডারে ‘নাখুশ’! বাংলার বাজি সংগঠন যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেন, একজন সাংসদ হয়ে কী ভাবে এই ধরনের অপরাধ করতে পারে তা জানা নেই৷ বিজেপি’র কোনও সদস্য এই কাজ করলে এতক্ষণে তাঁকে জেলে পোড়া হত৷ তাঁর উপর অস্ত্র আইন লাগু হয়ে যেত৷ কিন্তু একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে এই ভাবে অপপ্রচার চালানোর ঘটনায় তিনি তাজ্জব৷ ওই তৃণমূল সাংসদ নিজে এই কাজ করেছেন, নাকি তাঁর হয়ে আইপ্যাক ফেসবুক-টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যান্ডেল চালিয়েছে তা জানা না থাকলেও, এই ঘটনায় তিনি আইনি পদক্ষেপ করবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন৷ নিজের আইনজীবীর সঙ্গে কথাও বলেছেন দিলীপ ঘোষ৷  

বীরসা মুণ্ডার মূর্তি বিতর্ক নিয়ে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি বলেন, বীরসা মুণ্ডা মোড়ে এই আদিবাসী মহাপুরুষের একটি ছোট মূর্তি ছিল৷ তার বদলে এই মূর্তিটি তৃণমূল সরকারই তৈরি করেছে৷ এখন তাঁরাই বলছে এটা বীরসা মুণ্ডার মূর্তি নয়৷ শিকারির মূর্তি৷ তবে কি বীরসা মুণ্ডার মূর্তি সরিয়ে তাঁকে অপমান করেনি তৃণমূল? পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন দিলীপ ঘোষ৷ তিনি আরও বলেন, বিভিষণ হাঁসদা তাঁর বাড়িতে আমাদের আন্তরিকতার সঙ্গে আপায়্যন করেছে৷ তাঁর আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদিবাসী সমাজকেই অপমান করেছে তৃণমূল৷ 

দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, আদিবাসী বা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করাটা নতুন কোনও বিষয় নয়৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের যে প্রান্তেই যান না কেন, উনি সাধারণ মানুষের বাড়িতে বসেই খাওয়া দাওয়া করেন৷ তিন বছর আগে নকশালবাড়িতেও গীতা মাহালি নামে এক আদিবাসীর বাড়িতে অমিত শাহ ভোজন করেছিলেন৷ কিন্তু তার পরই জোড় করে তাঁদের হাতে তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরানো হয়৷ তিন বছর পর ওই মহিলাকে হোমগার্ডের চাকরিও দেওয়া হয়েছে৷ দিলীপবাবু বলেন, আমরা কারও বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করলে সরকার যদি চাকরি দেয়, তাহলে আমরা সকলের বাড়িতেই খেতে যাব৷ আর সেই তালিকাও সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেব৷ 

আরও পড়ুন- বাড়ছে লোকাল, এখনও চূড়ান্ত হয়নি সময়সূচি! মান্থলি টিকিটে সুখবর!

আদিবাসী নিগ্রহ প্রসঙ্গে দিলীপবাবুর বক্তব্য, হাথরাস দেখিয়ে বাংলার অপরাধ থেকে নজর ঘোরানো যাবে না৷ বাংলায় কেন মেয়েদের উপর অত্যাচার হচ্ছে আগে সেই উত্তর দিক সরকার৷ তিনি আরও বলেন, মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য কী করা হয়েছে, তাঁরাই তার জবাব দেবে৷ মতুয়ারা আমাদের সুযোগ দিয়েছে৷ মতুয়া অধ্যুষিত লোকসভা আসনে আমরা জিতেছি৷ পঞ্চায়েতেও জিতেছি৷ বিধানসভা ভোটেও জিতব৷ মতুয়া সমাজের প্রতিনিধিরা বিজেপি’র সঙ্গে আছেন৷ 

তোপ দেগে এদিন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, তৃণমূল চোখ বন্ধ করে বসে আছে৷ তাঁরা ভাবছে বাংলার মানুষ তাঁদের সঙ্গে আছে৷ কিন্তু এই ধরনের ভ্রস্টাচারী, অত্যাচারী সরকারের সঙ্গে বাংলার কোনও মানুষও নেই৷ বাংলায় হিংসার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ বিজেপি বলেছিল, ‘১৯-এ হাফ আর ২১-এ সাফ’৷ এবার ‘সাফ’ করার সময় এসে গিয়েছে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 10 =