কলকাতা: ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন নন্দীগ্রাম নিয়ে উত্তেজনা আরো বেশি বাড়ছে। নতুন বছরের শুরুতেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির পরপর সভা করার কথা নন্দীগ্রামে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সুভাষ অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে তিনি যা বলবেন তা তিনি আগে থেকেই জানেন, পাল্টা সভায় সবকিছুর উত্তর দিয়ে দেবেন। কিন্তু এখন জানা গিয়েছে নির্ধারিত দিনে নন্দীগ্রামের সভা করবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়ে শুরু হয়ে যাওয়া রাজনৈতিক জল্পনার আগুনে আরও ঘি ঢাললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, নন্দীগ্রামের ইতিহাস শেষ, নন্দীগ্রাম ভাঙ্গিয়ে বেশিদিন খাওয়া যাবে না।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, নন্দীগ্রামের বিধায়ক অখিল গিরির করোনাভাইরাস আক্রান্ত, তাই সেখানকার সভা বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা দাবি করেছেন, যিনি বিধায়ক তিনি রামনগরের, সভা ছিল নন্দীগ্রামে। দুটো জেলা আলাদা। নিজের এলাকায় লোক জমা করতে পারেন না, ওখানে আর কি হবে। এই প্রেক্ষিতেই দিলীপ স্পষ্ট জানান, দিদিমণি মনে হয় ভয় পেয়েছেন তাই সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। নন্দীগ্রামের ইতিহাস শেষ হয়ে গিয়েছে, নন্দীগ্রাম ভাঙ্গিয়ে বেশিদিন খাওয়া যাবে না।
পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ এও বলেন, এখন তারা সরকারের থেকে এগিয়ে গিয়েছেন তাই সরকার তাদের অনুসরণ করছে। বিজেপি যেখানে যেখানে সভা করছে তার পাল্টা সভা করছে তৃণমূল কংগ্রেস, এই প্রসঙ্গে উত্তর দিতে গিয়েই এমন মন্তব্য করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি বাতিল হলেও নির্ধারিত দিনে নন্দীগ্রামে কর্মীসভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সি। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কাঁথি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বলবেন তিনি খুব ভালো করেই জানেন, পরবর্তী সভায় তিনি সব কথার উত্তর দিয়ে দেবেন।