কলকাতা: রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এবং সেই কারণে আগামী ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত নিয়ম বহাল রেখেছে রাজ্য সরকার। চলছে না লোকাল ট্রেন, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার উপনির্বাচন করাতে চাইছে। এই ইস্যুতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে চাইছেন বলেই উপনির্বাচন নিয়ে এত তাড়া দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি তিনি জানান, রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আগে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসুক তারপর ভোট নিয়ে ভাবা যাবে।
দিলীপের বক্তব্য, উপনির্বাচন অবশ্যই হওয়া উচিৎ এবং নির্দিষ্ট সময়ে তা হবে। রাজ্য সরকার গত দু’বছর ধরে পুরসভার ভোট করাতে পারছে না আর এখন রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কী ভাবে উপনির্বাচন চাইছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। তাঁর কথায়, সরকারের যদি মনে হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে তাহলে ‘লকডাউন’ তুলে দিক, লোকাল ট্রেন চালু করুক। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছে না সরকার এদিকে উপনির্বাচন করাতে চাইছে। সেই প্রেক্ষিতেই দিলীপের সাফ কথা, শুধুমাত্র নিজে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে চাইছেন বলেই মমতার নির্বাচন নিয়ে এত তাড়াহুড়ো। প্রসঙ্গত, নির্বাচনে হারের পর ছয় মাসের মধ্যে কোন একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই কারণেই নভেম্বর মাসের মধ্যে উপনির্বাচন চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মাঝেই চোখ রাঙাচ্ছে জিকা, জারি সতর্কতা
এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে উপনির্বাচন প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য ছিল, রাজ্য সরকার নিজেই বলছে মিটিং মিছিল হবে না৷ তাহলে উপ নির্বাচন নিয়ে লাফালাফি কেন? প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র বিধায়ক শূন্য৷ এগুলি হল – মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ, ভবানীপুর (কৃষিমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন৷ ওই আসন থেকে ভোটে লড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়), খড়দহ , গোসাবা, দিনহাটা ও শান্তিপুর৷ স্বাভাবিকভাবেই, সংশ্লিষ্ট আসনগুলিতে দ্রুত উপ নির্বাচন করাতে মরিয়া শাসকদল৷