কলকাতা: তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে ‘মুষলপর্ব’৷ যার প্রভাব পড়েছে তৃণমূল স্তর থেকে শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে৷ শনিবার কালীঘাটে জরুরি বৈঠক ডেকে যাবতীয় পদের অবলুপ্তি ঘটিয়ে নতুন কর্মসমিতি গঠন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে কোনও পদাধিকারীর নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি৷ শুধুমাত্র এই কমিটির চেয়ারপার্সন হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম৷
আরও পড়ুন- চার পুরনিগমে ভোট নির্ঝঞ্ঝাট, হবে না পুনর্নির্বাচন, জানাল কমিশন
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে যে ‘মতবিরোধ’ তৈরি হয়েছে তা অনেকেই ভাল চোখে দেখছেন না৷ এমতাবস্থায় বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল নাকি আড়াআড়িভাবে দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। একটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরেকটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শিবির। তৃণমূলের এই অন্তর্ন্দন্দ্বে তৃণমূলকে ‘প্রপার্টি’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূলে একটাই পদ, বাকি সব আপদ। ওটা পার্টি না প্রপার্টি। উপর থেকে নীচ অবধি সব করাপটেড। সকলের মধ্যে ঝামেলা লেগে গিয়েছে। নেহাত পুলিশের ভয়ে বা টাকা কামানোর জন্য দলটায় রয়ে গিয়েছে। আর কোনও কারণ নেই। পিসি-ভাইপোর মধ্যেও তো ঝামেলা! এ বার, যদুবংশ ধ্বংসের মতো দলটাও ধসে পড়বে!”
শনিবার কালীঘাটের বৈঠকে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির ঘোষণা করা হয়৷ সেখানে দেখা যায়, একমাত্র চেয়ার পার্সন পদে আসীন হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০ জনের টিমে চেয়ারপার্সন ছাড়া আর কোনও পদের উল্লেখ করা হয়নি। আপাতত সমস্ত পদের অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছে৷ ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এখন আর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিমের মতো তিনিও জাতীয় কর্মসমিতির বাকিদের মতোই একজন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোড় চর্চা শুরু হয়েছে৷