কলকাতা: ২০২২-এ স্বাধীনতার ৭৫ বছর বর্ষপূর্তি৷ এই উপলক্ষে বুধবার ভার্চুয়ালি কেন্দ্রের প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু অভিযোগ, তিন ঘণ্টা বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও তিনি কথা বলার সুযোগ পাননি৷ থেকেছেন ‘শ্রোতা’ হয়ে৷ পরে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার সঙ্গে অত রাজনীতি করা উচিত নয়৷’ তাই শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের৷
আরও পড়ুন- শীতের পথে ভিলেন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলেই ইঙ্গিত
এদিন খোঁচা দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এটা কোনও নতুন বিষয় নয়৷ দিদির এখন টাকার প্রয়োজন নেই। টাকার প্রয়োজন হলেই ঠিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। উন্নয়নের জন্য বৈঠক ডাকা হলে মুখ্যমন্ত্রী দেখা করেন না। বিপদে পড়লেই প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হন। পুরোটাই পাবলিসিটি স্টান্ট!’’
প্রসঙ্গত, আগামী বছর স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশজুড়ে স্বাধীনতার ‘অমৃত মহোৎসব’ পালিত হবে৷ বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রস্তুতি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছিল শ্রোতার ভূমিকায়৷ এর পরেই তিনি শুক্রবারের বৈঠকে ‘না’ বলেন৷ নবান্নের সভাঘরে প্রশাসনিক কর্তা ও বিশিষ্টজনেদের নিয়ে ডাকা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ কেন্দ্র যা করছে করুক, তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমরা আমাদের মতো করব। এর জন্য আমাদের কোনও বাজেট বরাদ্দ করা হয়নি৷ এর মধ্যেই যতটুকু করা যায় করব৷ আমরা আমাদের মতো করব৷ ঋষি অরবিন্দের জন্য ওই একই কমিটি। আমাদের কমিটির বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সব সিদ্ধান্তই নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমার নতুন করে বলার কিছু নেই। কালকে বলতে দিলে আমি বলতাম। কিন্তু আগামিকাল যে বৈঠকটি আছে, সেটা শুধু একজনের উপরে। যেটা নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা সেরে ফেলেছি। সুতরাং আগামিকাল আমি থাকছি না। প্রতিদিন হয় না।’’