কলকাতা: জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ দূরত্ব স্পষ্ট কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের৷ শীতকালীন অধিবেশনের আগে বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে ডাকা কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা মাল্লিকার্জুন খাড়গের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল৷ নাম না করে শুরু হয়েছে দুই দলের নেতার বাগযুদ্ধ৷ যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নেতা হতে চাইছেন। সোনিয়ার দিন শেষ।’’
আরও পড়ুন- অসময়ে বাজার ছেয়েছে রুপালি শস্যে, কম দামে টানছে ক্রেতা
প্রসঙ্গত, রবিবার কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী নাম না করে তৃণমূলকে বিঁধে বলেন, ‘‘কোনও কোনও বিরোধী দল প্রকাশ্যে বিরোধী বলে নিজেদের জাহির করছে, কিন্তু আসলে তারা সরকারপক্ষের সঙ্গেই রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হলেই তারা সরে দাঁড়ায়। কিন্তু কংগ্রেস এমনটা করে না।’’ এর পরই নাম না করে অধীর চৌধুরীকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করেন৷ তিনি লেখেন, ‘‘সংসদে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে। সাধারণ বিষয়গুলোই তাদের ঐক্যবদ্ধ করবে।’’ সেই সঙ্গে তিনি এও বুঝিয়ে দেন যে, অন্য বিরোধীদের সঙ্গে তৃণমূলের পার্থক্য রয়েছে৷
এই টানটান উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার সকালে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘ওরা নিজেরাই ঠিক করুক, কারা কার সঙ্গে থাকবে আর কার সঙ্গে থাকবে না। বিরোধীদের বৈঠক একটা নাটক। ওদের বৈঠক নিয়ে বিজেপি-র কোনও মাথা ব্যথা নেই।’’ সেই সঙ্গে তাঁর বিশেষ টিপ্পনি, ‘‘বিরোধীদের বৈঠক কে ডাকবে, তা নিয়েই ঝগড়া। কংগ্রেস ডাকবে, নাকি তৃণমূল ডাকবে, না অন্য কোনও দল ডাকবে? কে কংগ্রেস, কে তৃণমূল, কে নির্মূল! আমাদের মাথাব্যাথা নেই।’’
পাল্টা সৌগত রাত বলেন, ‘‘আমাদের দলেরও একটা বৈঠক রয়েছে৷ সেখানে আমাদের উপস্থিত থাকতে হবে৷ দিলীপ ঘোষ কী বলল আর না বলল তা নিয়ে মন্তব্য করার কোনও প্রয়োজন নেই৷ বরং বাংলায় গো হারার পর দলের ব্যর্থতা নিয়ে ওরা ভাবুক৷’’