কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিরাচরিত ভবানীপুরে দাঁড় করিয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। এবার নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়ার কারণে আবার ভবানীপুরে উপনির্বাচনে লড়ছেন মমতা। এই নিয়ে আগেও বিজেপি কটাক্ষ করেছিল তাঁকে, আজ সাংবাদিক বৈঠকে সেখানের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টেবরিওয়ালকে পাশে বসিয়ে মমতাকে একহাত নিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, মমতা আসলে ভয় পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- ভোজ্য তেলে ভেজাল আটকাতে বড় উদ্যোগ রাজ্যের
দিলীপ এদিন বলেন, ৪ মাস আগে বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছে। বাংলায় যে উপনির্বাচন হচ্ছে তার জন্য দায়ী মমতা নিজে। সাংবিধানিক সঙ্কটের কথা বলা হচ্ছে, তার জন্যও দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মন্তব্য করেন, মমতা হয়ত ভয় পেয়েছিলেন, ভেবেছিলেন ভবানীপুরের মানুষ তাঁকে হারিয়ে দেবে, তাই তিনি চলে গিয়েছিলেন। এখন আবার ফিরে এসেছেন। তাই ভবানীপুরের মানুষের উচিত ভেবে ভোট দেওয়া। এদিকে, কেন প্রিয়াঙ্কা টেবরিওয়ালকে প্রার্থী করা হল সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন তখন তাঁকে কেউ চিনত না। সেই মমতা তাঁকে হারিয়ে আজ এই জায়গায় এসেছেন। প্রিয়াঙ্কা দলের লড়াকু নেত্রী এবং তাঁকে সামনে রেখেই দল নির্বাচন লড়বে বলে জানান তিনি। এই প্রসঙ্গে হাস্যরসে তাঁর কটাক্ষ, হারা প্রার্থীর বিরুদ্ধে হারা প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে ফের ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
এর পাশাপাশি দিলীপ আরও বলেন, যে কোনও নির্বাচন বিজেপি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই লড়ে। দলের কোনও নেতা হোক, বা দলের কর্মী, তিনিই দলের মুখ হন এবং তাঁর পিছনে গোটা দল থাকে। একই সঙ্গে তারকা প্রচারকদের প্রসঙ্গেও কথা বলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভবানীপুরে তারকা প্রচারক হিসেবে একাধিক নাম সামনে এসেছে যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রচার করবে। এই তালিকায় রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে স্মৃতি ইরানি, রুদ্রনীল ঘোষ এমনকি বাবুল সুপ্রিয়র নাম। উল্লেখ্য, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী দুজনেই। তাঁরা জানিয়েছিলেন যে, দল চাইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা লড়তে রাজি। যদিও অবশেষে প্রিয়াঙ্কা টেবরেওয়ালকে ভবানীপুরের প্রার্থী করেছে বিজেপি।